আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশি মুদ্রায় টুনি মাছ দাম ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা

  প্রতিনিধি ৭ জানুয়ারি ২০২৩ , ১:৩২:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।আকাশছোঁয়া দামের কারণে টুনা মাছ বরাবরই ‘কালো হীরা’ নামে পরিচিত। তার ওপর আকার হয়েছে বিশাল।সব মিলিয়ে নিলামে দৈত্যাকার সেই টুনা মাছটির দাম উঠেছে প্রায় তিন কোটি টাকা।যদিও টুনা মাছের অতীত রেকর্ডের তুলনায় এই দাম নিতান্তই কম।তবু এটিকে মহামারির মন্দাভাব কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ব্লুমবার্গের খবরে জানা যায়,সম্প্রতি জাপানের রাজধানী টোকিওর টোয়োসু মাছের বাজারে ২০২৩ সালের প্রথম আনুষ্ঠানিক নিলামে একটি টুনা মাছ বিক্রি হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ইয়েনে (২ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার)। বাংলাদেশি মুদ্রায় মাছটির দাম ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা প্রায়। মাছটি ধরা ধরা হয়েছে জাপানের উত্তর আওমোরি অঞ্চলের ওমা এলাকা থেকে।

টুনা মাছটির ওজন ২১২ কেজি। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।টোয়োসুর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,এই মাছটির দাম আগের বছরের প্রথম বিক্রিতে পাওয়া মূল্যের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

সুশি চেইন অপারেটর ওনোদেরা গ্রুপের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন,সামুদ্রিক খাবারের পাইকারি বিক্রেতা ইয়ামায়ুকির সঙ্গে টানা তৃতীয়বার নিলামে জয়লাভ করেছেন তারা।নিলামে কেনা দৈত্যাকার টুনা মাছটি কেটে নিয়ে বৃহস্পতিবার টোকিওর ওমোটেসান্দোর শপিং ডিস্ট্রিক্টের ওনোদেরার রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা হবে।

ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে,চার বছরের মধ্যে এই প্রথমবার নিলামে টুনা মাছের দাম বেড়েছে।ভোক্তারা আবারও বার-রেস্টুরেন্টে দুহাত খুলে খরচ করতে শুরু করেছে,এটি তারই লক্ষণ।

জাপানে বছরের প্রথম নিলামে সামুদ্রিক খাবার থেকে শুরু করে ফলমূল সবই থাকে।এসময় এগুলোর দাম সাধারণত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়।কারণ,নতুন বছর উদযাপন ও নিজস্ব ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের জন্য উপলক্ষটি ব্যবহার করতে চান দরদাতারা।

অবশ্য তারপরেও এ বছরের সর্বোচ্চ দাম ২০১৯ সালে সুশি চেইন মালিক কিয়োশি কিমুরার গড়া ৩৩ কোটি ৩৬ লাখ ইয়েনের রেকর্ড থেকে অনেক কম।বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৬ কোটি টাকা দিয়ে ২৭৮ কেজির টুনা মাছটি কিনেছিলেন কিমুরা।২০১৩ সালেও এরকম একটি ‘কিং টুনা’ কিনে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।সেই মাছটির দাম ছিল প্রায় ১০ কোটি টাকা।

জাপানের প্রিয় খাদ্য সুশির অন্যতম উপকরণ টুনা।মাছের তলপেটের চর্বি দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু খাবার।সেজন্য টুনা মাছের চাহিদা জাপানে সব সময়ই বেশি।

আরও খবর

Sponsered content