ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

বাংলাদেশি পণ্যে বাড়তি শুল্ক কমানোর দর-কষাকষির জন্য লবিস্ট নিয়োগ করার চেষ্টা করছি-মাহমুদ হাসান খান

  প্রতিনিধি ২০ জুলাই ২০২৫ , ৫:০২:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশি পণ্যে বাড়তি শুল্ক কমানোর দর-কষাকষির জন্য লবিস্ট নিয়োগ করার চেষ্টা করছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।এমন তথ্য দিয়ে সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, ‘গতকাল থেকে আমরা লবিস্ট নিয়োগে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছি।তবে লবিস্টদের কাছ থেকে সাড়া কম পাচ্ছি।তার কারণ,অধিকাংশই বিভিন্ন দেশের পক্ষে যুক্ত হয়ে গেছে।’

আজ রোববার ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।প্রথম আলো রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ গোলটেবিলের আয়োজন করেছে। সেখানে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও গবেষকেরা অংশ নিয়েছেন।

মাহমুদ হাসান খান বলেন,আমি ব্যক্তিগতভাবে তিন দিন আগেও আশাবাদী ছিলাম।যাঁরা সরাসরি দর-কষাকষি করছেন,ওনারা অনানুষ্ঠানিকভাবে বলেছেন,তাঁরা খুবই আত্মবিশ্বাসী।তবে দুই দিন আগে থেকে কানাঘুষা চলছে যে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন,যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) পাল্টা শুল্ক কমানোর চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ নয়। ট্রাম্প প্রশাসন হচ্ছে সেই কর্তৃপক্ষ।এটা বুঝতে এত সময় লাগল!’

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন,আমরা যদি বিষয়টি এক মাস আগে জানতে পারতাম,তাহলে লবিস্ট নিয়োগের প্রক্রিয়াটি শুরু করতে পারতাম।গতকাল থেকে আমরা লবিস্ট নিয়োগে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছি।তবে লবিস্টদের কাছ থেকে সাড়া কম পাচ্ছি।তার কারণ,অধিকাংশই বিভিন্ন দেশের পক্ষে যুক্ত হয়ে গেছে।আমার সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এ মুহূর্তে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে নিরুৎসাহিত করছেন।তার কারণ,এটা (দর-কষাকষি) ব্যর্থ হতে যাচ্ছে।আমরা কেন ব্যর্থতার দায়ভার নেব?’

মাহমুদ হাসান খান পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন,বিজিএমইএর ১ হাজার ৩২২টি সদস্য কারখানা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে।এর মধ্যে ১০০ কারখানার ৯১-১০০ শতাংশ রপ্তানির গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।আর ৮২২ কারখানা শূন্য থেকে ২০ শতাংশ রপ্তানি করে দেশটিতে।তিনি আরও বলেন,আমরা ১ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিন (মুনাফা) ব্যবসা করছি।বাড়তি শুল্ক ২০ শতাংশ হলেও আমরা মনে করব,একটা জায়গায় ভালো।যদি না ভারত,ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার পাল্টা শুল্ক আমাদের চেয়ে কম হয়।’

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন,তৈরি পোশাক রপ্তানি আমাদের রুটিরুজি।দেরি হয়ে গেলেও আমরা লবিস্ট নিয়োগ করার চেষ্টা করছি।বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পিআরআইয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি।ইতিমধ্যে দুজন লবিস্টের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি।এর মধ্যে একজন সাড়া দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন,আমলাতন্ত্রের মধ্যে দড়ি–টানাটানি বন্ধ না হলে বেসরকারি খাত এগোবে না।পাল্টা শুল্কের বিষয়ে ‘স্মার্টলি’ দর-কষাকষি করতে হবে। দুর্ভাগ্যবশত,সরকার কখনোই বেসরকারি খাতকে স্বীকৃতি দেয়নি।

আরও খবর

Sponsered content