প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১:৩০:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি।।বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ‘বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম’ এর এসির নানা যন্ত্রাংশ চুরি হবার সময় এক পরিচ্ছন্ন কর্মী মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও চোর পালিয়ে যায়।পরে তিনি চোরাইকৃত জব্দ মালামাল বিসিসি’র কর্তৃপক্ষ কে হস্তান্তর করেন।কিন্ত বিসিসি’র পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় চোর নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নেশাগ্রস্ত এ চোর হলেন জুয়েল ওরফে চোরা জুলু।নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড কেডিসি এলাকার বাসিন্দা।

গত শুক্রবার লোকমুখে চুরি হবার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে অনুসন্ধানকালে বেড়িয়ে এসেছে ওই তথ্য।
সূত্র জানায়,গত ৫ আগষ্ট আ.লীগ সরকারের পতনের পর অনান্য প্রতিষ্ঠানের মত বরিশাল বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।ছন্নছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে চলমান বছরের ৬ সেপ্টেম্ব বুধবার সকালে প্রথম দফায় এসির নানা যন্ত্রাংশ কেটে ও খুলে চুরি করে নগরীর কেডিসি এলাকার জুয়েল। মামালামালগুলো রাখে শহীদ মিনারের পেছনে থাকা গাছের পাশে।দূর থেকে বিষয়টি লক্ষ্য করেছে বিসিসি’র পরিচ্ছন্ন কর্মী জলিল।তিনি ঘটনাস্থলে গেলে,জুয়েল সটকে পড়ে এবং মালামাল উদ্ধার করে।
অফিস বন্ধ থাকায় স্থানীয় নিবির কে দিয়ে জলিল তার শহীদ মিনার সংলগ্ন বাসায় পাঠিয়ে দেয়।এই ঘটনার পর জুয়েল পরদিন অর্থাৎ শনিবার একই মালামাল চুরি করতে গিয়ে ধরা পরে ৮/১০ জন কার ড্রাইভারদের কাছে।রবিবার জব্দকৃত মালামাল সকল মালামাল বিসিসি’র কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয় পরিচ্ছন্ন কর্মী জলিল।
জলিল বলেন,ঘটনার দিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। এ সুযোগে চোর বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে ঢুকে।দূর থেকে আমি দেখতে পাই একজন লোক শহীদ মিনারের পিছনে গিয়ে গুজগুজ করছে।গিয়ে তো এসির নানা যন্ত্রাংশ পাই।
১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জয়নাল আবেদীন হাওলাদার বলেন, অপরাধী যেই হোক তার ছাড় নেই।তাতে আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলে রক্ষা নেই। আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হোক।
সহকারী পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী বলেন,ঘটনা শুনেছি,জব্দকৃত মালামাল বিসিসি’র কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম’ ভবন পরিচালনা শাখা বিষয়টি দেখবে।
বিসিসির প্রশাসনিক র্কমর্কতা (চঃদা) মোঃ আলমগীর হোসনে বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন।তারাই ব্যবস্থা নিবেন।

















