শিক্ষা

ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনার পর ডিসকাউন্ট না পেয়ে ব্যবসায়ীকে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী পরিচয়ে মারধর

  প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:২১:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনার পর নিজেদের দাবি করা ডিসকাউন্ট না পেয়ে ব্যবসায়ীকে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী পরিচয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা নিজেদের ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে দাবি করেছেন।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় ‘ধানমন্ডি ফার্মেসিতে’এ ঘটনা ঘটে।এতে ওই ফার্মেসির মালিক শেখ সাবের ও সহযোগীদের মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়,দুপুরে দিকে ধানমন্ডি ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যান ঢাকা কলেজের আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হলের রিদওয়ান ইসলাম হৃদয় ও পশ্চিম হলের রাহুল কুমার শীল।দোকানে এসে তারা কিছু ওষুধ নেন।ওষুধের দাম আসে ১৩৮০ টাকা।তারা এই টাকা না দিয়ে পুরো ওষুধের দাম থেকে ২৫ শতাংশ কমানোর দাবি করেন।

তখন ওষুধ বিক্রেতারা বলেন,‘আমরা ২৫ শতাংশ কমাতে পারবো না।আমরা আপনাকে সর্বোচ্চ যে দামে ওষুধ কিনি সে দামে দিতে পারবো।এসময় বিক্রেতারা সর্বনিম্ন ১২০০ টাকা রাখতে রাজি হন।

এরপর ওই শিক্ষার্থীরা দাম নিয়ে বিক্রেতার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে দোকান থেকে বের হয়ে যান।বের হয়ে তারা কলেজের ‘বড় ভাই’ খ্যাত শামীম পারভেজ,শাহরিয়া হাসনাত জিওন ও মোহাম্মদ আলীকে ফোন দিয়ে ডেকে আনেন।তারা ১০-১৫ জনকে নিয়ে এসে ধানমন্ডি ফার্মেসির মালিক সাবেরকে ধরে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কলেজ স্ট্রিটে নিয়ে যান।

সেখানে ফার্মেসির মালিককে মারধর করেন।তাকে বাঁচানোর জন্য কয়েকজন গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।এসময় আশপাশের ব্যবসায়ীরা ৯৯৯ এ কল দিলে নিউ মার্কেট থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন রিদওয়ান ইসলাম হৃদয়,রাহুল কুমার শীল,শামীম পারভেজ,শাহারিয়া হাসনাত জিওন, রফিকুল ইসলাম,শেখ হেলাল,মোহাম্মদ আলীসহ কয়েকজন। অভিযুক্তদের একটি অংশ নিজেদের ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন,আরেকটি অংশ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী বলে দাবি করেন।

এ ঘটনায় ধানমন্ডি ফার্মেসির মালিক শেখ সাবের বলেন, দুজন প্রথমে আমাদের দোকানে আসেন ওষুধ কিনতে। ওষুধের দাম আসে ১৩৮০ টাকা।তারা এক হাজার টাকা দিয়ে চলে যেতে চান।আমরা বলি আপনি আমাদের কেনা দাম দিয়ে যান।তারা সেটি না দিয়ে আমাদের বিক্রেতার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন।আমি মীমাংসা করতে আসলে তারা আমাকে ও আমার সঙ্গে কয়েকজনকে মারধর করেন। কিছুদিন পরপর তাদের এসব কর্মকাণ্ডের জন্য আমাদের ব্যবসা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের ফোন দিলে তাদের সবাইকে পাওয়া যায়নি।মোহাম্মদ আলী নামের এক অভিযুক্তের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।আমি দুপুরবেলা এখানে চা খাচ্ছিলাম।একটা ঝামেলা হচ্ছিল সেটি দেখতে গিয়েছিলাম।

এ ঘটনার বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন,এ বিষয়ে জানি না।ঢাকা কলেজের কোনো শিক্ষার্থী এটি করে থাকলে খুবই দুঃখজনক।কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থী হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো।অন্যথায় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

আরও খবর

Sponsered content