অপরাধ-আইন-আদালত

প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পাওয়া দুই শিক্ষার্থী ভর্তি হতে এসে গ্রেপ্তার

  প্রতিনিধি ৩১ জুলাই ২০২৩ , ২:৪৫:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জালিয়াতির (প্রক্সির) মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পাওয়া দুই শিক্ষার্থী ভর্তি হতে এসে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার হয়েছেন।পরীক্ষার খাতার লেখার সঙ্গে তাঁদের হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা থানায় মামলা করেন।

আজ সোমবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক নূর আলম।তিনি বলেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।আজ সকাল ১০টার পর আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা হলেন বগুড়ার আহনাফ শাহরিয়ার ও ময়মনসিংহের ফয়সাল আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,গতকাল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হতে আসেন আহনাফ শাহরিয়ার।তিনি সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিলেন।ভর্তি পরীক্ষায় তাঁর মেধাক্রম ছিল ২৪৯তম।গতকাল ভর্তি হতে এলে ভর্তি পরীক্ষার খাতার সঙ্গে হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় সন্দেহ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন। আহনাফ লিখিত স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন, তাঁর এক স্বজনের সঙ্গে তাঁর দুই লাখ টাকার চুক্তি হয়।ভর্তি পরীক্ষায় আহনাফের হয়ে ওই স্বজন অংশগ্রহণ করেন।

আরেক শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন গতকাল আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তি হতে আসেন।তিনি বি ইউনিটে পরীক্ষা দেন। ভর্তি পরীক্ষায় তাঁর মেধাক্রম ছিল ৪৮তম।পরীক্ষার খাতার সঙ্গে তাঁর হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।এরপর তিনি প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তাঁর হয়ে কে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, কত টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, সেসব প্রকাশ করেননি তিনি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন,গতকাল সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওই দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।তাঁকে খবর দেওয়া হলে তিনিও সেখানে যান।পরে ওই দুই শিক্ষার্থী তাঁদের জালিয়াতির বিষয়ে লিখিত স্বীকারোক্তি দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়।এরপর তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আরও খবর

Sponsered content