প্রতিনিধি ৫ আগস্ট ২০২৩ , ৪:১৯:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।প্রেমের টানে স্বামী,সন্তান ছেড়ে এবং হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে পাকিস্তানি যুবক নসরুল্লাহকে বিয়ে করেছেন ভারতীয় বধূ।আঞ্জু থেকে নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন ফাতিমা। তবে এ ঘটনার পর থেকে ভারতে থাকা তার পরিবারের সদস্যরা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।খবর দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,পাকিস্তানি যুবককে বিয়ে করার পর ভারতে থাকা আঞ্জুর পরিবার স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েছেন।এরই মধ্যে কাজ হারিয়েছেন আঞ্জুর ভাই ও স্বামী। একঘরে হয়ে গিয়েছেন তার বাবা।
আঞ্জুর বাবা গয়া প্রসাদ থমাস ভারতের গোয়ালিয়রের বউনা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দর্জির কাজ করেন তিনি।সেখানে তার নিজের একটি দোকান রয়েছে। কিন্তু আঞ্জু নিজের সংসার ছেড়ে পাকিস্তানে পালিয়ে বিয়ে করার পর স্থানীয় বাসিন্দারা তার কাছে আর পোশাক তৈরির কাজ দিচ্ছে না। তার দর্জির দোকান একপ্রকার বন্ধ হওয়ার মুখে এখন।
এদিকে দুটি আলাদা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন আঞ্জুর ভাই ডেভিড থমাস এবং স্বামী অরবিন্দ মীনা।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী,সম্প্রতি আঞ্জুর ভাই এবং তার ভারতীয় স্বামী নিজেদের চাকরি হারিয়েছেন। আঞ্জুর ভাই ডেভিডকে কর্মক্ষেত্র থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে।আর তার স্বামী অরবিন্দকে বলা হয়েছে,পরবর্তী নিদের্শের আগে যেন তিনি বাড়িতেই থাকেন।তবে এই সময় তিনি অফিসের বেতন পাবেন কি না,তা জানা যায়নি।সবমিলিয়ে বেশ সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে আঞ্জুর পরিবার।
এর আগে ২৩ জুলাই পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়,২৯ বছর বয়সি নসরুল্লাহ মেডিকেলে কাজ করেন।২০১৯ সালে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর তারা একে অপরের বন্ধু হয়ে ওঠেন।সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজন। পরে নসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে পাড়ি জমান আঞ্জু।
এরপর ২৫ জুলাই পাকিস্তানি যুবক নসরুল্লাহ ও আঞ্জু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ভারতীয় নারী বিয়ের আগে হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছেন। আঞ্জু থেকে নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন ফাতিমা।
বর্তমানে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় বসবাস করছেন নসরুল্লাহ ও ফাতিমা।এরমধ্যেই ভারতীয় নারী ফাতিমার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে পাকিস্তান সরকার।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে,আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত তার ভিসার মেয়াদ ছিল।আপাতত তা আরও দু’মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।