জাতীয়

ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা বেতন ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করে আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বাতিলের দাবি

  প্রতিনিধি ১১ মে ২০২৪ , ৫:০৮:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা বেতন ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করে আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা।

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন ও বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আকতার হোসেন ৬ দফা দাবি জানিয়ে বলেন,নবম জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা,প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে অর্থের সংস্থান রাখা,সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা ৩০ হাজার টাকা; গ্যাস, বিদ্যুৎ,পানির বিল ভাতা প্রদান; বিনা সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ; টাইমস্কেল-সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল,আউট সোর্সিং প্রথা বাতিল; সচিবালয়ের মতো এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়নসহ চলমান বৈষম্য ও অসঙ্গতি দূরীকরণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি স্বাক্ষাতসহ ৬ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আবুল বাশার।লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খলিলুর রহমান ভূঞা।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি মো. মহসিন ভূইয়া,মো. সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ,আনোয়ার হোসেন চৌধুরী,ঢাকা মহানগর নির্বাহী পরিষদের সভাপতি মো. বাহার উদ্দিন,কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নজির আহমেদ ভূইয়া,মাহবুব আলম,জহুরুল হক, মো. আব্দুল করিম,মো. আশিকুর রহমান,মো. শফিউল বাশার,মো. সেলিম রেজা,মো. কামরুজ্জামান উজ্জল, তহুরা খানম,বোরহান উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর কমিটির কার্যকরী সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও মো. আমির হোসেন,কেন্দ্রীয় কমিটির অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক বিএম রবিউল ইসলাম ও মো. আশরাফ ছরোয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

এদিকে বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি নবম পে-স্কেল ও আউটসোর্সিং প্রথা বাতিলসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি মো. আজিম।এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোক্তার হোসেন,মহাসচিব মো. নিজাম উদ্দিন পাটওয়ারী,উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান,কার্যকরী সভাপতি মো. সেলিম ভূঁইয়া, মো. জাকির হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মোজাম্মেল,অতিরিক্ত মহাসচিব অহিদুর রহমান, বাচকসক কার্যকরী সভাপতি মনির আহমেদ, মো. মোজাফফর হোসেন বাবুল,সহ-সভাপতি মো. রমিজ, মো. শামসুল হক সুজন প্রমুখ।

সংগঠনের ১০ দফা দাবি হলো- ৯ম জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করে ১.৫ হারে বেতন স্কেল সর্বনিম্ন ২৫ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা। আউটসোসিং প্রথা বাতিল করে আউটসোর্সিং ও প্রকল্পের নিয়োগকৃত সব জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ৪০ শতাংশ মহার্ঘভাতা প্রদান করা। বাড়ি ভাড়া ৮০ শতাংশ,চিকিৎসায় ৩ হাজার টাকা, শিক্ষায় ২ হাজার টাকা,যাতায়াত ১৫০০ টাকা,টিফিন ১০০০ টাকা এবং ধোলাই ১০০০ টাকা নির্ধারণ করা।পুলিশের মতো রেশন প্রদান করতে হবে এবং নার্সদের মতো পোশাকের টাকা বেতনের সঙ্গে প্রদান করতে হবে।সচিবালয়ের মতো পদবি পরিবর্তন ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন সব কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ পদোন্নতি করা।নিয়োগের ক্ষেত্রে রেলের (রেল অধিদপ্তরের) মতো ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা সংরক্ষণ রাখা।পূর্বের মতো শতভাগ পেনশন উত্তোলনের সুবিধাসহ পেনশন গ্র্যাচুইটি এক টাকায় ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা। টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করা।সরকারি কর্মচারীদের সুদমুক্ত ঋণ প্রদান ও সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ভাতা প্রদান করাসহ পাহাড়ি ভাতা প্রদান করার দাবি জানান তারা। এসব দাবি পূরণে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আরও খবর

Sponsered content