জাতীয়

ন্যায়বিচার,মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ গঠিত হবে-ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০২৪ , ৩:৩৩:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ন্যায়বিচার,মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে আগামীর বাংলাদেশ গঠিত হবে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) ২০২৪’র তৃতীয় আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন,সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি সমাজ গড়ার আওয়াজ তুলেছেন তরুণরা।আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার,মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে গঠিত। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ।এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।’

থ্রি জিরোর ভিত্তিতে মানব সভ্যতা তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘এই সভ্যতা আমাদের ব্যর্থ করেছে।শুধু পরিবেশের দিক দিয়েই নয়,মানুষ মুনাফার পেছনে মরিয়া হয়ে উঠাও এর জন্য দায়ী।আসুন আমরা নতুন একটি সভ্যতা তৈরি করি থ্রি জিরোর ভিত্তিতে।যেখানে সম্পদকে কুক্ষিগত করা হবে না।সবার মধ্যে সমানভাবে বণ্টন হবে।’

তিনি বলেন,বিদেশি অতিথিদের বলব আপনারা রাস্তাগুলো ঘুরে দেখুন।বাংলাদেশের তরুণদের মনের ভাষা বুঝতে পারবেন।আমি আপনাদের আহ্বান জানাব,নতুন একটি বিশ্ব গড়ার বিষয়ে ভাবতে।যেভাবে আমাদের তরুণরা আমাদের নতুন একটি বাংলাদেশের বিষয়ে ভাবতে শিখিয়েছেন।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘১৭ কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেক জনসংখ্যার বয়স ২৭ বছরের কম।কত বড় শক্তি।তাদের এই সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে অনেক শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব।আমাদের তরুণদের শক্তি আছে বিশ্বকে টেকসই উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার,আমাদের পরিবেশ রক্ষা করার।কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন সহযোগিতা,সাহস এবং নিজেদের মধ্যে শেয়ার করার মানসিকতা ও অটুট বিশ্বাস।আমাদের তরুণরা আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে নিয়ে গেছে।আসুন একে অপরকে চ্যালেঞ্জ করি,একে অপরের কথা শুনি এবং পরিবেশগতভাবে নিরাপদ গ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারাসহ একটি নতুন বিশ্ব কল্পনা করার সাহস করি।’

নোবেলজয়ী এ উপদেষ্টা বলেন,কোনো অন্যায়,দোষ না করেও এ দেশের মানুষ কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে। অনেক বড় শক্তির মুখোমুখি হওয়াতে আমরা অভ্যস্ত।কিন্তু আমরা এটাও জানি যে,যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই,যখন আমরা এক হয়ে কাজ করি,তখন আমাদের ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার ক্ষমতা আছে,যেমনটি আমরা ১০০ দিন আগে বাংলাদেশে করেছি।’

উল্লেখ্য,সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।আজ থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’।সম্মেলনে ৭৭টি সেশনে গবেষক,শিক্ষক, লেখক,সমরবিদ,সাংবাদিক,ব্যবসায়ী,রাজনীতিকসহ বিভিন্ন পেশার আট শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেবেন।

আরও খবর

Sponsered content