অপরাধ-আইন-আদালত

নগরীতে ব্যবসায়ীর ব্যাংক চেকে ও স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর রাখায় থানায় লিখিত অভিযোগ 

  প্রতিনিধি ১৫ আগস্ট ২০২৫ , ৬:৪৩:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

রবিউল ইসলাম রবি॥আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও সঞ্জয় কুমার গুহ (৪৫) সহ সাত জন মিলে ব্যবসায়ীর সাথে থাকা ব্যাংকের চেক সাত লক্ষ টাকা লেখার পাশাপাশি তিনশত টাকার স্ট্যাম্পেও জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়েছেন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) এমন অভিযোগ এনে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ী মো. আরিফ শেখ (৪০)। তিনি নগরীর ৫নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পলাশপুর এলাকার মৃত. ইউনুস শেখের ছেলে।অভিযুক্ত সঞ্জয় কুমার গুহ নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড নতুন বাজার এলাকার মতিলাল গুহের ছেলে।

 

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন,চলতি বছরের ১০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯ টায় নগরীর নতুন বাজার “অতিথি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে” বসে আদালতে চলমান মামলা নিয়ে আলোচনার জন্য সঞ্জয় কুমার গুহ ডেকে নেয় আরিফ শেখকে।যাবার কিছুক্ষণ পরই সঞ্জয় তার সাথে থাকা ৭ জন লোক মিলে ওই ঘটনা ঘটায়।তাদের দুই জনের মধ্যে ব্যবসায়ী সম্পর্ক। আরিফ চেক দিয়ে ১২ লাখ টাকা সঞ্জয়ের কাছ থেকে নেয়।

 

জানা গেছে,এই টাকার জন্য সঞ্জয় বাদী হয়ে গত ১৮-০৬-২০১৯ তারিখে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে আরিফ শেখ কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে। চলমান মামলার মধ্যে আসামি আরিফ এ পর্যন্ত ৪ কিস্তিতে আদালতের মাধ্যমে বাদি সঞ্জয় কুমার গুহ কে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন।তবে এখনও সঞ্জয় কুমার গুহ পাবে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন আইনজীবী মো. মাইনুল ইসলাম (সজল)।

আরিফ শেখ বলেন, আমি খুলনায় ফুটপাতে পোশাকের ব্যবসা করি। ঘটনার দিন মামলার ওই মামলার তারিখও ছিল এবং সঞ্জয় কুমার গুহ চলমান এ মামলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা বলে আমাকে ডেকে নিয়ে ওই ঘটনা ঘটায়। তার ‘ সাইথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিঃ’ এর ব্যাংকের- ২২২৬৮৭৪ নম্বরের চেক পাতা ছিড়ে নেয়।তারপর চেক ও স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়।তিনি আরো বলেন, সঞ্জয়ের পূর্বের টাকা এখনও দিতে পারিনি তারমধ্যে আবার পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।অভিযুক্ত সঞ্জয় কুমার গুহের ব্যবহৃত মুঠোফোন কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

 

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় এসআই ইব্রাহিম বলেন, এমন অভিযোগ হয়েছে শুনেছি কিন্তু কাগজপত্র হাতে এসে পৌঁছায়নি।

আরও খবর

Sponsered content