সারাদেশ

দুই মাস পর ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরা শুরু

  প্রতিনিধি ১ মে ২০২৫ , ৫:৪৯:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

চাঁদপুর প্রতিনিধি।।চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার নদীর অভয়াশ্রমে দুই মাস পর ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরা শুরু হয়েছে।সরকারি পর্যায়ের আদেশে জাটকা রক্ষা ও অন্যান্য মাছ বৃদ্ধিতে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০ দিন শিকার বন্ধের পর বুধবার মধ্যরাত থেকেই জেলেরা নদীতে শিকারে নেমেছে।কর্মব্যস্ততা ফিরেছে চাঁদপুরের মাছঘাটে।তবে প্রথম দিনে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলেরা।

মাছ আহরণ কম হওয়ায় প্রথম দিনে আড়তে তেমন ব্যস্ততা চোখে পড়েনি।আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১০ মণ ইলিশও আসেনি মাছের বড় ঘাট বড় স্টেশনে।তাছাড়া বরিশাল,বরগুনা,ভোলা,লক্ষ্মীপুর,সন্দ্বীপসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ আজ দুপুর পর্যন্ত পৌঁছেনি চাঁদপুর মাছ ঘাটে। নদী তীরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইলিশের কার্গো ও নৌকাও আসেনি। ইলিশের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইলিশের পাইকারি বাজার চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে,দীর্ঘদিন পর বেচাকেনা কিছুটা শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে।

পুরান বাজারের হরিসভা অঞ্চলের জেলে বাবুল,সেলিম, মনির হোসেন বলেন,ভোরে মাছ ধরতে নেমেছি।নদীতে তেমন মাছ নাই। ইলিশ না পেলেও পোয়া,পাঙাশ,চিংড়িসহ বিভিন্ন দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে।মাছ বিক্রির জন্য বড়স্টেশন মাছঘাটে এসেছি।তবে এই মাছে তেলের টাকাও উঠছে না।

ব্যবসায়ীরা জানান,আজকের আড়তে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজারে।এক কেজির কম ওজনের ২ হাজার ৫০০ টাকায়।সরবরাহ না বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।

এদিকে শহরের সবচেয়ে বড় বাজার পালবাজার ঘুরে দেখা গেছে,সেখানের খুচরা ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে ইলিশই আনেননি।কারণ’ হিসাবে কিরন নামে একজন ব্যবসায়ী বললেন,তিন হাজার টাকার কেজিতে ইলিশ কে কিনবো বলেন?কয়জনে কিনবো?আমরা বেঁচমো কতো?’

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন,এখন নদীতে পানি কম।স্রোত ও বৃষ্টিও কম। ফলে এ সময়ে ইলিশ কম পাওয়া যায়।

চাঁদপুরের ইলিশ ক্রেতা মোহন মাছঘাটে এসেছেন ইলিশ কিনতে।দাম শুনেই ফিরে গেলেন।তিনি বললেন,আমাদের চাঁদপুরের মানুষের ইলিশ খাওয়া বড় কঠিন হয়ে পড়ছে। আজকেও যেমন আবার ভরা মৌসুমেও দেখবো দাম আর কমবে না!’

আরও খবর

Sponsered content