সারাদেশ

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দু’দিনে কোরবানির বর্জ্যসহ পশুর হাটের বর্জ্যও সম্পূর্ণ অপসারণ

  প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২৩ , ২:৪০:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।এবারের কোরবানির ঈদ ঘিরে ৪৮ ঘণ্টায় মোট ৪১ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের কথা জানিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

ঈদের দিন ও তার পরের দুদিনে কোরবানির বর্জ্যসহ পশুর হাটের বর্জ্যও সম্পূর্ণ অপসারণের কথা জানিয়েছেন দুই সিটির কর্মকর্তারা।

ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন,শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত উত্তর সিটি এলাকায় ২২ হাজার ৩৮৭ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

“৪ হাজার ৬০৬টি ট্রিপে এ বর্জ্য আমিন বাজার ল্যান্ডফিলে অপসারণ করা হয়েছে। পশুহাট থেকেও বর্জ্য অপসারণ করা হয়ে গেছে।”

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তার এলাকায় ১৮ হাজার ৮৫২ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

মোট ৪ হাজার ৩১০টি ট্রিপে এ বর্জ্য মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে ফেলা হয়েছে।বর্জ্য অপসারণ কাজেসাড়ে তিনশ যান ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে দুপুরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শীতলক্ষ্যা সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান বলেন, ঈদের প্রথম দিনের কোরবানির বর্জ্য ১০ থেকে ১১ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে।

“গত দুই দিনের মধ্যে যত পশু কোরবানি হয়েছে তার সম্পূর্ণ বর্জ্য আমরা অপসারণ করতে পেরেছি।ভারি বর্ষণ আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।কিন্তু প্রস্তুতি থাকায় আমরা সেই কাজটি ঠিক সময়ে করতে পেরেছি।আমরা মনে করি সবচেয়ে কম সময়ে কাজ করতে পেরেছি।”

পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তিনি বলেন, ইজারাদাররা তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করায় হাটের বর্জ্য অপসারণ কিছুটা দেরি হয়েছে।

“২৮ তারিখ রাত ১২টা থেকে আমরা বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছিলাম।কিন্তু দেখা গেছে,ভারী বর্ষণের কারণে অনেক ব্যবসায়ী হাট থেকে যেতে পারেনি।অনেকের অবিক্রিত গরু হাটেই রেখে দেয়।

“বৃষ্টির কারণে বর্জ্য অপসারণ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে হাটের হাজার হাজার বাঁশ অপসারণ করে গতকাল রাতে আমরা হাটগুলো বর্জ্যমুক্ত করেছি।”

বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা সহযোগিতা করেছেন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,সিটি করপোরেশনের কর্মীদের পাশাপাশি কাউন্সিলররাও ট্রাকে করে বর্জ্য অপসারণের কাজটি করেছেন।

“আমাদের ১০ হাজার কর্মী বর্জ্য অপসারণে কাজ করেছে। কাউন্সিলররা ট্রাক,খোলা ট্রাক এবং কিছু জনবল নিয়োগ করেছেন বর্জ্য অপসারণের জন্য।তাদের মধ্যে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে কিছু কিছু ওয়ার্ডে বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যেই আমরা বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি।”

যেসব ইজারাদার তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেনি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, “ইজারাদারদের চুক্তির শর্ত ছিল হাটগুলো তারা পরিষ্কার করে দেবেন। যারা শর্ত ভঙ্গ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“উনাদের যে জামানত আছে সেখান থেকে আমরা কর্তন করে সামনের দিনগুলোর জন্য হুঁশিয়ার করা হবে।… আমাদের মাননীয় মেয়র মহোদয় গতকালও বলেছেন, কঠোর ব্যবস্থা নেব।তারা (ইজারাদাররা) আমাদের কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে গেছেন।”

আরও খবর

Sponsered content