রাজনীতি

ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি দিতে ‘কোনো ঝামেলা না করতে’ ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন-বিএনপি

  প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ১২:৩৯:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি দিতে ‘কোনো ঝামেলা না করতে’ ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ডিএমপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনো ঝামেলা না করে ১০ ডিসেম্বরে নয়া পল্টনে সমাবেশের ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাবো। তারা (সরকার) এখনো সমাবেশের স্থান দেয়নি। দায়িত্ব এখন সরকারের, বিএনপি নিয়ম মেনে সমাবেশের আবেদন করেছে।’

নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে ‘দেউলিয়াত্ব ঘোচাতে দুর্ভিক্ষের নাটক? দেশ কোন পথে’ শীর্ষক এক সেমিনারে কথা বলছিলেন বিএনপি মহাসচিব। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ নেতারা সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট দেখেন না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরের রঙ্গিন জীবন দেখছেন।’

‘আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। দলটি যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দুর্ভিক্ষ হয়। আওয়ামী লীগের যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে তাদের দুর্নীতি লুটপাটই দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ।’

বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতারা বিধবা ভাতা বা দুস্থ ভাতার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কেটে নেয়। বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন জাতির জন্য বোঝা হয়ে গেছে। এই বোঝা সরাতে না পারলে সবাই ডুবে যাব।’

আওয়ামী লীগ পুরনো দল আর তাদের জনভিত্তি আছে অভিহিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কিন্তু ক্ষমতায় থাকার লালসায় তারা এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে।’

আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্জন নষ্ট করছে। আওয়ামী লীগ দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এমন কোনো খাত নেই যেখানে দুর্নীতি হয় না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণকে রক্ষা করতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বাধা দেওয়া এদের নিয়মে পরিণত হয়েছে।’

‘মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের আদালতে ব্যস্ত রাখছে। নতুন করে গায়েবী মামলা শুরু করেছে। ককটেল ফাটানোর কথা বললেও যে ঘটনা কেউ শোনেনি, দেখেনি তা নিয়ে গায়েবী মামলা দিচ্ছে। পুরনো নাটক শুরু করেছে সরকার। যেন বিএনপি মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে অন্যদিকে সরকার তার অপকর্ম করে যেতে পারে।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকার পতনের আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিতেই আগুন সন্ত্রাস আর জঙ্গি নাটকের ধুয়া তুলছে ক্ষমতাসীনরা। দেশে জঙ্গি ছিনতাই নাটক তৈরি করা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য জনগণের মূল দাবি ভিন্ন খাতে নেওয়া।’

এসময় বিএনপি মহাসচিব ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে বলে তার দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বক্তৃতা করেন।

আরও খবর

Sponsered content