সারাদেশ

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন না করার দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি

  প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২৫ , ৪:৪২:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন না করাসহ ৫ দফা দাবিতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা জেলার নেতারা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে তারা এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ঢাকা জেলার সভাপতি আফজাল হোসাইন রাহমানী,কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজীমাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, মুফতি মাহবুবুল আলম কাসেমী ও মাওলানা নজরুল ইসলাম তাহের প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে দেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার, ন্যায়বিচার,সুশাসন ও ইসলামি মূল্যবোধভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে। বিগত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার কাতারে একাকার হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী এই দল অন্তর্বর্তী সরকারকেও সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে।তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে,সম্প্রতি বর্তমান সরকার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনোরূপ আলোচনা ছাড়াই বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস চালু সংক্রান্ত ৩ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে,যা দেশ ও বিদেশে ব্যাপকভাবে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এতে বলা হয়,এই চুক্তির ফলে এক দিকে যেমন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে,বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে,এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ আক্রান্ত হবে,অপরদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অবেদন সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।এমতাবস্থায় দেশের জনগণ ও ধর্মপ্রাণ মানুষের পক্ষ থেকে আমরা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ পক্ষ থেকে দেশব্যাপী জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকর কমিশনের অফিস খোলার চুক্তি বাতিল করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

জমিয়তের দাবিসমূহ :

(১) দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

(২) সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার ও বাকস্বাধীনতার নামে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতো বিতর্কিত বিষয়গুলোকে জাতিসংঘের এই কমিশন মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত মনে করে। এই অফিস কার্যত মানবাধিকারের নামে ইসলামবিরোধী পশ্চিমা এই সংস্কৃতিগুলোকেই এ দেশে প্রমোট করবে।

(৩) বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ও মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে।

(৪) বহুল আলোচিত পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে আলাদা একটি খ্রিস্টান রাজ্য প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে।

(৫) আবহমানকাল থেকে চলে আসা বাংলাদেশের মুসলিম পারিবারিক ঐতিহ্য বিনষ্ট হবে।

আরও খবর

Sponsered content