সারাদেশ

ট্রলার থেকে উদ্ধার ১০ লাশের মধ্যে ছয়টি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

  প্রতিনিধি ২৫ এপ্রিল ২০২৩ , ১২:৩৮:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।।কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ট্রলার থেকে উদ্ধার ১০ লাশের মধ্যে ছয়টি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এ সময় প্রতি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে জেলা প্রশাসন।তবে বাকি চার জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়নি।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে এসব লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর মধ্যে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম প্রকাশ সামশু মাঝির লাশ গ্রহণ করেন স্ত্রী রোকেয়া বেগম,চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের জঙ্গলকাটা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়ার লাশ গ্রহণ করেন তার বাবা,শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের জাফর আলমের ছেলে শওকত উল্লাহর লাশ গ্রহণ করেন ভাই আয়াত উল্লাহ, চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের বটতলী এলাকার শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের লাশ গ্রহণ করেন স্ত্রী হাফিজা বেগম,শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের মুসা আলীর ছেলে গণি ওসমানের লাশ গ্রহণ করেন মা জহুরা বেগম এবং একই ইউনিয়নের মোহাম্মদ হোসনের ছেলে নুরুল কবিরের লাশ গ্রহণ করেন তার বাবা।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামের উপস্থিতিতে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়।এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য প্রতি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘দাফন-কাফনের জন্য নিহতদের প্রতি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘১০ জনের মধ্যে ছয় জনের লাশ স্বজনরা শনাক্ত করার পর যাচাই-বাছাই শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর চার জনের লাশ হাসপাতাল মর্গে আছে।তবে সবগুলো লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।এসব নমুনা পরীক্ষা করার পর পরিচয় সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হবো আমরা।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘যে ছয় জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে,তাদের স্বজনদের থানায় এজাহার জমা দিতে বলা হয়েছে।এজাহার পাওয়ার পর মামলা নথিভুক্ত হবে।’

এর আগে রবিবার দুপুরে নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

ছয় লাশ হস্তান্তরের পর চার জনের লাশ মর্গে আছে। স্বজনদের দাবি, তারা হলেন মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), শাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪)। তবে পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় তাদের লাশ হস্তান্তর করেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন,পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের লাশ হস্তান্তর করা হবে। প্রয়োজনে পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। কারণ লাশগুলো এতই বিকৃত হয়ে গেছে যে, কে কার স্বজন তা নিশ্চিত করা কঠিন।’

আরও খবর

Sponsered content