রাজনীতি

জাপার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা হয়েছে-ওবায়দুল কাদের

  প্রতিনিধি ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১:৫২:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট আসন থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‌‘তাদের (জাতীয় পার্টির) সঙ্গে আমাদের সমঝোতা আছে।এখানে কোনো প্রকার অশোভন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।

আমরা বসেই আলোচনা করেছি। ’

আসন সমঝোতার বাইরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘শুধু ভাগাভাগির বিষয় নয়।

বিএনপি ইলেকশন বয়কট করার এবং প্রতিরোধ করার যে ডাক দিয়েছে,সে বিষয়ে এই পলিসিটা সবার—সমমনা সবার মধ্যে একটা ঐক্য থাকা দরকার,যারা নির্বাচন করবে।এসব নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।

প্রার্থিতার বিষয়টা আজ বিকেল ৪টায় পরিষ্কার হয়ে যাবেন। ’

জাতীয় পার্টিকে কত আসন ছাড়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যায় আমরা আপস-মীমাংসা বা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি; সেরকম একটা ধারণা জাতীয় পার্টিকে আমরা দিয়েছি।জাতীয় পার্টিরও নিজস্ব চাওয়া আছে।তারা তো চাইবে আমাদের কাছে,কাজেই চাওয়াটা বড়ই হতে পারে। চাওয়া তো ছোট হয় না।কিন্তু আমাদেরও সামর্থ্য কতটা আছে, সেটা আবার আমরা যখন বসি তখন আমাদেরও ভাবতে হয়। ’

তিনি বলেন, ‘এখানেও আমাদের অ্যাডজাস্টমেন্ট, অ্যাকোমোডেশনের ব্যাপার আছে,বিরাট পার্টি।এই পার্টি দেওয়ার ব্যাপারে কতটুকু দিতে পারবে সেটাও তো আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের বিষয়। ’

আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে যে আসনগুলো দিয়েছে তা পেয়ে তারা সন্তুষ্ট কি না?এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা আপনি জিজ্ঞেস করুন না।আমি কেন বলতে যাবো? আমার সঙ্গে সুন্দরভাবে আলোচনা হয়েছে। কিছুক্ষণ আগেও আমার সঙ্গে কথা হয়েছে।তারা ক্ষুব্ধ,অভিমান করেছে এসব বিষয় কর্থাবার্তার সুরে নেই। ’

তিনি বলেন, ‘তারা (জাতীয় পার্টি) শেষ পর্যন্ত চেষ্টাও করতে পারে,আসন বাড়ানোর ব্যাপারে।তাদের একটা আবদার থাকতে পারে,অনুরোধ থাকতে পারে।সেটা হতে পারে এবং সেটা কতটুকু হয় বিকেল ৪টায় তো পরিষ্কার হয়ে যাবে। ’

 

জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানো আসনগুলোতে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কিছু কিছু আসন তো প্রত্যাহার করতে হবে। আসন মানে আমাদের নৌকা প্রত্যাহারের বিষয় আছে। আমরা যেসব আসনে সমঝোতায় পৌঁছাবো,সেখানে নৌকা তো আমাদের প্রত্যাহার করতে হবে নীতিগতভাবে। ’

জাতীয় পার্টিকে তো আগেই জয়ের নিশ্চয়তা দেওয়া হলো?তাদের সঙ্গে আসন সমঝোতার মাধ্যমে কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে?এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী তুলে নিলেই কি জয় হবে? বাংলাদেশে এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী কত?তো এরা কি প্রতিদ্বন্দ্বী নন? নৌকা না থাকলেও তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে।অন্যান্য আরও দল তো আছে। ২৮টা দল না! আওয়ামী লীগ তো একটা দল। ’

তিনি বলেন, ‘কল্যাণ পার্টি আছে? কল্যাণ পার্টির (নেতা) মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সৈনিক,উনি আজকে ইলেকশন করতে চান।ওনাকে তো আমরা নৌকা প্রতীক দিচ্ছি না।উনি ওনার নিজের প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। ’

আসন সমঝোতায় সন্তুষ্ট না হয়ে জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমার এখন পর্যন্ত মনে হয় না যে জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে।তারা (জাতীয় পার্টি) নির্বাচন করবে এই মর্মে তাদের একটা সিদ্ধান্ত আছে।এখন তারা পরিবর্তন করবে এমন সিদ্ধান্তের তথ্য এখন পর্যন্ত আমার কাছে নেই। ’

প্রার্থী প্রত্যাহার বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‌‘আমরা যতটা চাইব আমাদের সভাপতির চিঠির মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নিতে পারবো। ’

আরও খবর

Sponsered content