জাতীয়

জঙ্গী সহিংসতায় অতিষ্ঠ জনগণ,সেনা শাসনের পথ চিন্তা করছেন অনেকে

  প্রতিনিধি ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৪:৪০:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ আজ আর তাত্ত্বিক গণতন্ত্রের গল্প শুনতে চায় না।তারা চায় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং জীবনের নিশ্চয়তা।কিন্তু বর্তমান শাসনব্যবস্থা সেই মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

জঙ্গী গোষ্ঠীর প্রকাশ্য তাণ্ডব,সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং রাষ্ট্রের অনীহা—সব মিলিয়ে জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে।বহু মানুষ মনে করছেন,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর নয় এবং বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।এই শূন্যতাই মানুষকে সেনাবাহিনীর দিকে নজর দিতে বাধ্য করছে।সেনা এখনো শৃঙ্খলা,শক্তি এবং দ্রুত সিদ্ধান্তের প্রতীক হিসেবে গণ্য।মানুষের ধারণা,সেনা শাসনে অন্তত রাস্তায় আগুন,প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ড ও সংখ্যালঘু নির্যাতন থাকবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন,জনগণের এই মনোভাব কোনো রাজনৈতিক রোমান্টিসিজম নয়।এটি ব্যর্থ গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক তীব্র প্রতিবাদ।মূল প্রশ্ন হলো—জনগণ কেন এমন বিকল্প ভাবছে? উত্তর একটাই: রাষ্ট্র তার মৌলিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ।

যদি সরকার এখনো জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান গ্রহণ না করে,সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এবং জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়,তাহলে সেনা শাসনের চাহিদা আরও জোরালো হবে।বিশেষজ্ঞরা এটিকে কেবল রাজনৈতিক আলোচনা নয়,বরং “শেষ সতর্কবার্তা” হিসেবে দেখছেন।

আরও খবর

Sponsered content