প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২৫ , ১২:০৭:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি।।দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের দায়েরকৃত মামলায় বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ (৩০) কে জেলহাজতে প্ররণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ আগষ্ট) বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী-১ আদালতের বিচারক নুরুন নাজনীন এ আদেশ দেন। আসামি সাজ্জাদ বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহে আলমের ছেলে। ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তালতলী বাজারে ‘হাফসা সুপার মার্কেটে’ ওই চাঁদা দাবি সহ হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারী বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে নামধারী ৯ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন- বরিশাল কাউনিয়া থানার অর্ন্তভূক্ত চরবাড়িয়া গ্রামের হাতেম আলী হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদার।দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল কাউনিয়া থানার এসআই মোঃ হাবিবুর রহমান ২০২৫ সালের ২৪ মে দায়েরকৃত মামলার ৯ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। দায়েরকৃত মামলা ও চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ, কাগাশুরা এলাকার কাদের হাওলাদারের ছেলে সোহাগ (৩২),চরবাড়িয়া আবুল সিকদারের ছেলে বশির (৩৫) ও মিজান (৩০),লালু মিয়ার ছেলে আল আমিন হোসেন (৩২),মতিউর রহমান বাবুর্চির ছেলে নুরু ইসলাম (৫২),ফারুকের ছেলে মেহেদী হাসান (দোলা),সাপানিয়া এলাকার আজিজ হাওলাদারের ছেলে সজিব (২৮) ও মন্টু খানের ছেলে জীবন (৩৫)। মামলা দায়েরের পর আদালতের বিচারক মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন।মামলার ২ থেকে ৯ নং পর্যন্ত আসামি ৮ জন আদালত উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
কিন্তু সমন জারিতে ১নং আসামি শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার নির্দেশ দেয়।বৃহস্পতিবার সাজ্জাদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক ওই আদেশ দেন।
মামলা ও চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, বাদির কাচামালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে।এ ঘটনায় বাদির চাচতো ভাই পার্শ্ববর্তী তাসমিয়া বিলকিস নামক সেনিটারি দোকান মালিক সুরুজ আহমেদ আসামিদের আবদার (চাঁদা) প্রত্যাখ্যান করে। এ নিয়ে তর্কের একপর্যায় গত ২৫/১২/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যায় আসামিরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙ্গচুর করে নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়।তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে- বাদীর নালিশী বিবাদীদের বিরুদ্ধে পেনাল ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩০৭/৩৮০//৫০৬(২) ধারার অপরাধ প্রমানিত হয়।তবে পেনাল কোডের ৩৮৫/৩৮৭ ধারা বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রমানিত হয়নি।

















