সারাদেশ

চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শার্শায় সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১১:১৭:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

0Shares

বেনাপোল প্রতিনিধি।।কলারয়া উপজেলার চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রী কেলেঙ্কারি এবং সহকারী শিক্ষিকাদের সহিত অনৈতিক কথাবার্তা বলা সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এক শিক্ষক দম্পতি।

সোমবার দুপুরে শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারে প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় লিখিত অভিযোগ কপি থেকে পাঠ করে শুনান ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সাহানিমা আক্তার লতার স্বামী আবু নঈম মো: নুরুজ্জামান লাল্টু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আনছার আলী একজন জামায়াতে ইসলামের সক্রিয় কর্মী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ ও ছাত্রী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষিকাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তিনি অনৈতিক কথাবার্তা বলেন।

তারই ফলশ্রুতিতে গত ২৫/০৮/২০২২ তারিখে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা মোছা: সাহানিমা আক্তার লতার সহিত বিভিন্ন প্রকার অনৈতিক কথাবার্তা বললে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়।

এসময় ওই শিক্ষিকার স্বামী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে শিক্ষিকার স্বামীকেও লাঞ্ছিত করেন এবং বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন তিনি।খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ডালিম হোসেন মিমাংসা করে বিষয়টির সমাধান করার জন্য উভয় পক্ষকে আশ্বাস দেন।

এসময় প্রধান শিক্ষক না বসাবসি করে গত ৩০/০৮/২০২২ তারিখে কলারোয়া থানায় উপস্থিত হয়ে একটি মিথ্যা মামলা করেন। যার নং-৩৬৩/২২। এ ছাড়া গত ০৪/০৯/২০২২ তারিখে কলারোয়া থেকে সম্প্রচারিত সমাজের আলো নামে একটি অনলাইন মিডিয়ায় মিথ্যা বানোয়াট কথা বলেন এবং সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে সম্মানহানি করার পাশাপাশি শিক্ষক দম্পত্তির সকল সদস্যকে কিডন্যাপ করার হুমকি প্রদান করেন।

এমতাবস্থায় ওই শিক্ষক দম্পতি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক এর আগে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুল হামিদ সাহেবের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে হাতেনাতে ধরা পড়েন। স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তিনি আমার স্ত্রীর চাকুরিও সমস্যা করতে পারেন।

শুধু এতগুলো অভিযোগই শেষ নয়। প্রধান শিক্ষক মো: আনছার আলী বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাবিন করে বিবাহ করে পরবর্তীতে আবার ছাড়াছাড়ি করেন। এ ঘটনায় ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যশোর আমলী আদালতে মামলা হয়। যার নং-৬৩/২১। সে ঘটনার তদন্ত করেন যশোর পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টগেশনের তদন্ত টিম। সে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যায়। উক্ত মামলাটি এখনো বিচারাধীন রয়েছে।

এমতাবস্থায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সহ পুত্রবধু বিদ্যালয়ে সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে শিক্ষকতা করতে পারেন এবং আশু সুবিচার পাইতে পারেন তার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মহোদয় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন শেষে অসহায় পরিবারটি বলেন, প্রধান শিক্ষক জামায়াতে ইসলামীর একজন সক্রীয় কর্মী হয়ে কিভাবে এতো অভিযোগের ভিত্তিতে বহাল তবিয়তে থাকতে পারে। ওই শিক্ষকের খুঁটির জোর কোথায়। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করে যেভাবে লাঞ্ছিত করেছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

0Shares

আরও খবর

Sponsered content

0 Shares