শিক্ষা

গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন

  প্রতিনিধি ১৮ মার্চ ২০২৫ , ৫:১৭:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

0Shares

নিজস্ব প্রতিবেদক।।অন্তর্বর্তী সরকার ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেয়।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান।সেখানে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, বাড়ি-৬,মেইন রোড,দিয়াবাড়ী দক্ষিণ,তুরাগ,ঢাকা।

বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদনপত্রে জানানো হয়,২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রস্তাবিত ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’, ঢাকা স্থাপন ও পরিচালনার জন্য আইনের ধারা ৭ অনুযায়ী সাময়িক অনুমতি প্রদান করা হলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি সংস্থা গ্রামীণ ট্রাস্ট এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করে।রাজধানীর উত্তরায় হবে বিশ্ববিদ্যালয়েটির স্থায়ী ক্যাম্পাস।গত ২৩ জানুয়ারি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উত্তরায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে।পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দল তাদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে প্রায় দুই মাস পর নতুন এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়।

জানা গেছে,১৯৮৯ সালে অলাভজনক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।এই ট্রাস্ট দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সামাজিক ব্যবসাকে ব্যবহার করে থাকে।

এদিকে,গ্রামীণ টেলিকম তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে, ৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এরপর ৯ সেপ্টেম্বর আশরাফুল হাসান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

শর্ত:-
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার অনুমোদনের উল্লেখযোগ্য শর্তগুলো হলো—সাময়িক অনুমতির মেয়াদ হবে অনুমতি প্রদানের পরবর্তী ৭ (সাত) বছর।প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন,২০১০-এ বর্ণিত সকল বিধান ও শর্ত মেনে চলবে।পাঠদানের নিমিত্তে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ,লাইব্রেরি,ল্যাবরেটরি,মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ,অফিস কক্ষ,শিক্ষার্থীদের পৃথক কমন রুম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত স্থান ও অবকাঠামো থাকতে হবে।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যূন ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকতে হবে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম তিনটি অনুষদ এবং ওই অনুষদের অধীন অন্যূন ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে,যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক পূর্বে অনুমোদিত হতে হবে।

প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেক বিভাগ,প্রোগ্রাম ও কোর্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক পূর্ণকালীন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিবিড় পাঠক্রম এবং প্রতিটি বিষয় ও কোর্স প্রণয়নসহ প্রত্যেক বিষয়ে মোট আসন সংখ্যা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে অন্যূন এক কোটি ৫০ লাখ টাকা যেকোনও তফসিলি ব্যাংকে জমা থাকতে হবে এবং সরকারের অনুমতি ছাড়া লভ্যাংশ উত্তোলন করা যাবে না।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর বিবেচিত হতে পারে এমন কোনও কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করবে না এবং সন্ত্রাসী বা জঙ্গি তৎপরতা বা এই জাতীয় কোনও কার্যকলাপে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোনোভাবেই কোনও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করবে না।

কেবল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত অনুষদ, বিভাগ ও কোর্সে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি এবং শুধু ক্যাম্পাসভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।

সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্বানুমোদন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না।

উল্লেখ্য,ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৫টি। তবে শিক্ষা কার্যক্রম চালু নেই বেশ কয়েকটির।তাছাড়া কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

0Shares

আরও খবর

Sponsered content

0 Shares