প্রতিনিধি ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:৩৩:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।গোপালগঞ্জে এক উপসচিবের বিরুদ্ধে ক্ষমতার ‘অপব্যবহার’ এবং ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সকালে কাশিয়ানী উপজেলার ঘোনাপাড়ার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. মানিক সরদার।এ সময় ভাই হানিফ সরদার,মা ইয়ারুন্নেছা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মো. মানিক সরদার বলেন,‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ম্যাধমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের উপসচিব রোকেয়া পারভীন তাঁর মা পান্না রহমানকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে আমিসহ আমার পরিবারকে হয়রানি করছেন।ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে আমাদের ভূমি দখলে নিতে পাঁয়তারা করছেন।আমার বাবা ১৯৪০ সালে ১৭ শতাংশ জমি কিনে বসতি স্থাপন করে বসবাস করে আসছিলেন।বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা ঢাকায় থাকলেও মা বাড়িতেই থাকেন।এ সুযোগে উপসচিবের মা পান্না রহমান ৬ শতাংশ জমি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নেন।পরে জমির মালিকানা নিতে ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের নামে ১১টি মামলা দেন। এর মধ্যে ৯টি মামলার রায় আদালত আমাদের পক্ষে দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ সালের ১০ অক্টোবর জমি দখল করতে আদালতে মামলা করেন রোকেয়া।সমন নোটিশে অন্য লোক দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে আমার নামে সমন জারি দেখানো হয়।পরে আদালত একতরফা রায় দেন এবং মামলার রায় নিয়ে এসে আমার ঘর ভেঙে দেয়।’
মো. মানিক সরদার অভিযোগ করেন,উপসচিব রোকেয়া পারভীন ফোন দিয়ে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন এবং তাদের বৈধ ভূমি জবরদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এতে নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন তারা।উপসচিব পরিবারের মিথ্যা মামলা,হুমকি ও হায়রানি থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপসচিব রোকেয়া পারভীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি মানিক সরদার ও হানিফ সরদারকে চিনি না।এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

















