অপরাধ-আইন-আদালত

এমটিএফই প্রতারণায় শিকার হয়ে সানি ও মৌসুমীর ছেলে এহসান ২ কোটি টাকা খুইয়েছেন

  প্রতিনিধি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২:৪৯:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।তারকা দম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন দুই কোটি টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।নিশাত বিন জিয়া রুম্মান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন তিনি।ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে ফারদিন এ বিষয়টি সামনে আানেন।যা নিয়ে সরব হয়েছেন ওমর সানীও।

ফারদিন এহসান স্বাধীন জানান,লাভের আশায় চলতি বছর সর্বমোট ২ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিশাত বিন জিয়া রুম্মানের হাতে তুলে দেন তিনি।তবে এক মাস লাভ দেওয়ার পরই ভোল পাল্টে ফেলেন সেই ব্যক্তি।নানাভাবে ঘুরাতে থাকেন বলে জানান ফারদিন।

বিষয়টি নিয়ে তিনি লেখেন, ‘৪০-৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচার করেছেন নিশাত বিন জিয়া।আপনারা হয়তো এমটিএফই এবং এরকম আরও অনেক অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কথা শুনেছেন।তবে কোনও অ্যাপ নয়,আজকে একজন ভণ্ড প্রতারক এবং অর্থ পাচারকারীর বাস্তব ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।’

জানা যায়,ফারদিনের সঙ্গে নিশাত বিন জিয়া রুম্মানের পরিচয় ২০২২ সালে।তারপরই ব্যবসায়িক লেনদেনে জড়িয়েছেন তাঁরা। ফারদিন লিখেছেন,নিশাত বিন জিয়া রুম্মান নামের এ ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি দিকে। তিনি নিজেই আমাকে দাওয়াত দেন।তারপর থেকেই চেনা-জানা।বিভিন্ন সময় নিশাত নিজে নিজেই তার একটি আইটি ব্যবসার ব্যাপারে আমাকে ও আমার কিছু বন্ধুদের বলতে থাকেন।পরিচয় হওয়ার চার মাস পর আমাকে এবং আমার কিছু পরিচিত মানুষদের সঙ্গে তার একটু বন্ধুত্ব গভীর হওয়ার পরে কিছু নগদ অর্থ ব্যবসায়িক পুঁজি হিসেবে নেওয়া শুরু করেন।যদিও পরে জানা যায়,তার কোম্পানির নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দূরের কথা,কোনও বৈধ ট্রেড লাইসেন্সই নেই।’

অভিযোগে ফারদিন জানান,১০ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফার ফাঁদে পড়েছেন তিনি।বললেন, ‘আমার টাকাটা এক প্রকার ব্যবসায়িক লোনই বলতে পারেন।তারা এইসব লেনদেন যেন বাংলাদেশ সরকারের চোখে না পড়ে তাই সেগুলো বিটকয়েন অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে করে থাকত।যা আমি পড়ে জেনেছি।ধাপে ধাপে তাকে ব্যবসায়িক ইনভেস্টমেন্ট ধার আকারে ২ কোটি ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেছি। এবং তার বিপরীতে তাকে আমি বলেছি যে,আমাকে সিকিউরিটি হিসেবে আমার ইনভেস্টমেন্ট মূল্যের ব্যাংকের চেক প্রদান করতে হবে।সেই চেক প্রদান করে সে আমার থেকে জানুয়ারি ২০২৩ সাল ২ কোটি ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বুঝে নেন।বিভিন্ন সময় তার কাছে আমার হকের টাকা চাইতে গিয়ে আমাকে এবং আমার অফিসের কর্মচারীদের হয়রানির শিকার হতে হয়।’

অর্থপাচারেরও অভিযোগ আনেন ফারদিন।তাঁর ভাষ্য,নিশাত বিন জিয়া প্রতারণা করে অর্থ দুবাই পাচার করে ৩,০০,০০০ দেরহাম অর্থাৎ প্রায় এক কোটি টাকা এক সপ্তাহে ব্যবধানে খরচ করেন।পরে আরও জানা যায়,তিনি প্রতারণার টাকা দিয়ে তার উচ্চবিলাসী জীবন দেখিয়ে গত ৮ মাসে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচার করেছেন।’

আরও খবর

Sponsered content