এনএসআই‘য়ের সাবেক কর্মকর্তার বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ সুবিধা পরিশোধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিএনপি সরকারের সময় চাকরিচ্যুত এনএসআই‘য়ের সাবেক কর্মকর্তা বখতিয়ার আহমেদ খানের বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ সুবিধা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রায় রিভিউ (পুনঃবিবেচনা) আবেদন নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেন।এর ফলে দীর্ঘ ৩০ বছরের আইনি লড়াই শেষে প্রাপ্য সুযোগ–সুবিধাসহ মর্যাদা ফিরে পেলেন এনএসআই‘য়ের সাবেক এই কর্মকর্তা।

আদালতে বখতিয়ার আহমেদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

রায়ের পর বখতিয়ার আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, বেতন–ভাতাসহ সুযোগ–সুবিধা ফেরত পাওয়ার চেয়েও আত্মসম্মান ও মর্যাদা ফিরে পেয়েছি–এটাই বড় কথা।দীর্ঘ অপেক্ষার হতাশা ন্যায়বিচার পাওয়ার মধ্যে দিয়ে কিছুটা হলেও কেটেছে।

তিনি আরও বলেন,বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত করে আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছিল।বিএনপির তৎকালীন হাইকমান্ড এ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিল।আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের মধ্যে দিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলো।

তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন,প্রাপ্য অধিকার ফিরে পেতে এতটা সময় অপেক্ষা করা,দুঃখজনক।বয়স না থাকায় চাকরিতে যোগদান করতে না পারলেও তার কর্মকাল অনুযায়ী সমুদয় বেতন–ভাতাসহ সুযোগ সুবিধা পাবেন।

বিস্তারিত লিখিত রায়ে জানা যাবে।

অবসরপ্রাপ্ত লে: বখতিয়ার আহমেদ খান ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কারিগরি শাখায় উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ে বর্ণিত ব্যক্তিকে ওএসডি হিসেবে সংযুক্ত করা হয় এবং ১৯৯১-১৯৯২ সাল পর্যন্ত ওএসডি থাকা অবস্থায় একবার তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হন।তদন্ত কমিটি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এরশাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য বললে অসম্মতি প্রকাশ করেন তিনি।ফলে ১৯৯২ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিএনপি সরকার কর্তৃক চাকরিচ্যুত হন তিনি।এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করার পর দীর্ঘ ৩০ বছর আইনি লড়াই শেষে বৃহস্পতিবার সর্ব্বোচ আদালত তার পক্ষে চূড়ান্ত রায় দেন।