প্রতিনিধি ১০ মে ২০২৫ , ৪:০০:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।র্যাব-৭ এর কর্মকর্তা,৩৭তম বিসিএস ব্যাচের এএসপি পলাশ।মাথায় গুলি লাগা অবস্থায় মৃত পাওয়া গেছেন।প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হলেও,নানা আলামত ও ঘনিষ্ঠজনদের মন্তব্যে উঠে এসেছে এক ভয়াবহ চিত্র—এটি নিছক আত্মহত্যা নয়,বরং একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

**গুলিবিদ্ধ পলাশ সাহার ছবিটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ভাবে বিশ্লেষণ করলে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে!
“”এটা আত্ম হত্যা নাকি হত্যা**””””???
এএসপি পলাশের মৃত্যু: আত্মহত্যা নয়,এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।
ছবিতে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে,মৃতদেহ চেয়ারে বসা এবং উভয় হাত সামনের দিকে রয়েছে।বাস্তবিক অর্থে,কেউ যদি নিজ মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করে,তাহলে শরীরের রিফ্লেক্স এবং ভারসাম্যের অভাবে হাত সামনে অবস্থান করতে পারে না।বরং শরীর ঢলে পড়ে এবং অস্ত্র নিচে পড়ে যায়।কিন্তু এখানে অস্ত্রের সুনির্দিষ্ট অবস্থান এবং দেহভঙ্গি আত্মহত্যাকে যুক্তিযুক্ত করে না।
নিচের কাগজে লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে,যেখানে মৃত্যুর দায় স্বীকার করার চেষ্টা দেখা যায়। কিন্তু বিশ্লেষণে স্পষ্ট যে এই হাতের লেখা পলাশের নিজের নয়।তার নিকট আত্মীয়,বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধু ও ব্যাচমেটরা এটি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন।হাতের লেখা বিশ্লেষণে দেখা গেছে,এটি স্বাভাবিক স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনের গঠন,স্ট্রোক এবং অক্ষরের দৈর্ঘ্যে পলাশের পরিচিত স্টাইলের সাথে মেলে না।
নোটটির ভাষাগত কাঠামো এবং শব্দচয়ন কৃত্রিম ও অস্বাভাবিক,যা আত্মহত্যার সময় একজন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষের পক্ষে লেখা প্রায় অসম্ভব।
পলাশের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু,যিনি বর্তমানে পুলিশের এসআই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাসমেট ছিলেন,তিনিই সর্বপ্রথম তথ্যটি নিশ্চিত করেন এবং উল্লেখ করেন — পলাশ মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন,এবং এমন আত্মঘাতী পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো পূর্বাভাস ছিল না।পলাশের ব্যাচমেট ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে,তিনি পরিবারে সদ্য দেখা হওয়া সন্তান ও পিতৃসত্ত্বা নিয়ে অত্যন্ত আনন্দিত ছিলেন,মানসিক অবসাদের কোনো লক্ষণ ছিল না।
ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “হিন্দু মারো” জাতীয় উস্কানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য উঠে আসে — যা ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করাকে আরও রহস্যজনক করে তোলে।
মূল প্রশ্নসমূহ:
১/ গুলির ধ্বনি শোনার পর নিরাপত্তাকর্মীরা কী পদক্ষেপ নিয়েছিল?
২/ সুইসাইড নোটটি কখন উদ্ধার হলো এবং সেটি ফরেনসিকভাবে পরীক্ষা হয়েছে কি?
৩/ গুলির ইনজুরি রিপোর্ট কী বলছে? (Inward or outward bullet wound trajectory)
৪/ কে বা কারা সেদিন তার ঘনিষ্ঠ পরিসরে ছিল?
ক্লিয়ারলি বুঝা যাচ্ছে যে, এএসপি পলাশের মৃত্যু আত্মহত্যা নয় — এটি একটি ঠাণ্ডা মাথায় সংঘটিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড,যার পর্দার আড়ালে রয়েছে কিছু অসৎ শক্তি। আত্মহত্যার প্রচার একটি কৌশল, যাতে মূল অপরাধী আড়ালে থাকে।
আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি:
১/ এই ঘটনায় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
২/ সুইসাইড নোটটির হাতের লেখা ফরেনসিক বিশ্লেষণ করতে হবে।
৩/ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করতে হবে (যদি থেকে থাকে)।
৪/ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের বক্তব্য নথিভুক্ত করতে হবে।

















