প্রতিনিধি ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১২:২০:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।স্বাস্হ্যই সুখের মূল। তবে স্বাস্হ্য বিভাগের অধিকাংশ দূর্নীতি ও অনিয়মের ছায়ায় ঘেরা এক অন্ধকার জগত।জাল-জালিয়াতি সনদ দেখিয়ে চিকিৎসার নামে জনসাধারণের জীবন নাশের এক মহা বানিজ্যের খেলা চলছে।এসব ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ বছরের পর বছর ফাইল বন্দি হয়ে থাকে। কখনো তদন্ত আলোর মুখ দেখতে পারছে না। মাঝে মধ্যে মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষ নানা তৎপরতা দেখালেও পরবর্তী সময়ে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।ঢাকার অধিকাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে প্রতারণা পূর্বক সাধারণ মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাশ বানিয়ে ছেড়েছে। তবুও স্বাস্হ্য বিভাগের মাথা ব্যথা নেই। সম্প্রতি রাজধানীর এক প্রানকেন্দ্র কোতয়ালী সদর থানার পাশে গড়ে উঠেছে চিকিৎসা সেবা প্রদানের নামে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। রাজধানীর সঙ্গে মিল রেখে গড়ে তোলা হয়েছে ক্যাপিটাল জেনারেল হাসপাতাল।এই হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক সুলতানা চৌধুরীর অপারেশনে ১ জানুয়ারি এক রোগীর মৃত্যুর পর অনুসন্ধানে জানা গেছে,শতাধিক ভূক্তভোগীর অভিযোগ।

সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে,বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়ার আঃ মালেক ভূঁইয়া ওরফে মালেক দর্জির মেয়ে ২০১৮ সালে পাতার হাট আরসি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ফেল করলেও সেই ব্যক্তি গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকার ক্যাপিটাল জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত আছেন। প্রতিনিয়ত রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত সিজার অপারেশন সহ সকল ধরনের অপারেশন করে আসছে জানান তিনি।
এছাড়াও নারী সাপ্লাইয়ের অভিযোগ সহ মাদক ও জাল টাকার ব্যবসায়ী লেডি মাফিয়া রহিমা পারভীনের সহযোগী বলে জানায় গোয়েন্দা সংস্থা কয়েকটি সুত্র।
গোয়েন্দা সুত্রে আরও জানাগেছে,তার ৪ ভাই বেগমবাগের রহিমা পারভীনের বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে মাদক ও জাল টাকার ব্যবসায় সম্পৃক্ত রয়েছে।হাসপাতালের ম্যানেজারকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দিলেও তাদের বিয়ের প্রমাণ দেখাতে পারেনি!গত রোববার(১ জানুয়ারি ২০২৩) বিকেল ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত সদরঘাটের একটি লঞ্চে কেবিন ভাড়া করে কথিত স্বামী ম্যানেজারের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে ধরা পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসার আগেই লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে পালিয়ে যায়।পরের সপ্তাহে রোববার (৮ জানুয়ারি ২০২৩) কথিত স্বামীর সহিত রাজধানীর এক আবাসিক হোটেলে বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত শিল্পপতির ছেলের সাথে ২লাখ টাকা চুক্তিতে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুলতানা চৌধুরী ওরফে মিনু নিজেকে থাইল্যান্ড থেকে পড়াশোনা করে বলে জানান,সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে বলেন আমার একমাসের ইনকাম দিয়ে র্যাব-পুলিশ,সাংবাদিক,আইন-আদালত বুঝবো।আপনার মতো সাংবাদিকদের যা খুশি তাই লিখতে পারেন,অসুবিধা নেই।এসব অকপটেই স্বীকার করেছেন।যার অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।
এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি,তারা কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এবিষয়ে স্বাস্হ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিস্তারিত——-পত্রিকায়

















