অপরাধ-আইন-আদালত

উপজেলা চেয়ারম্যানের পরিচয় জানতে চাওয়ায় প্রিজাইডিং অফিসার লাঞ্ছিত: মামলা

  প্রতিনিধি ৭ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:৫৩:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদের পরিচয় জানতে চাওয়ায় তিনি ঢাকা-৩ আসনের একটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আজ রোববার দুপুরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

ওই প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নাম মোসলেম রেজা (৪৬)। তিনি আবদুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটের দায়িত্ব পালন করছিলেন।ঘটনার পর এই আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে ওই কেন্দ্র থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেন।

আবদুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্বরত একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুপুর ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ তাঁর কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন।এ সময় কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোসলেম রেজা উপজেলা চেয়ারম্যানকে চিনতে না পেরে তাঁর পরিচয় জিজ্ঞেস করেন।এতে ক্ষিপ্ত হন শাহীন আহমেদ। এ নিয়ে চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।একপর্যায়ে শাহীন আহমেদ ও তাঁর লোকজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।খবর পেয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম ঘটনাস্থলে আসেন।তিনি মোসলেম রেজাকে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান এবং সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুনীল চন্দ্র রায়কে ওই কেন্দ্রে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেন।

আজ বিকেলে ভুক্তভোগী মোসলেম রেজা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।

অভিযোগের বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ  বলেন, ‘আমি আবদুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই।সেখানে গিয়ে জানতে পারি,ভোট গ্রহণ শুরুর ৮ থেকে ১০ মিনিট সময় পেরিয়ে গেলেও ওই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোট গ্রহণ শুরু করেননি।এ ছাড়া ভোটাররা ভোট দিতে এসে ওই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কর্তৃক নানাভাবে হয়রানি ও বিভ্রান্ত হয়েছেন।এবিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলেন।’ তিনি আরও বলেন, তাঁকে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়নি। এ অভিযোগ সঠিক নয়।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তিনজনকে এজাহারভুক্ত করে থানায় মামলা হয়েছে।বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content