প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১২:২১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি॥বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী থেকে মেহেন্দীহঞ্জের পাতারহাট রুটে চাদার দাবিতে স্পীডবোট চলাচল বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছে স্পীডবোট ব্যবসায়ী ও চালকরা।

স্মারকলিপিতে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনেছেন।একই সাথে ওই ঘাটটির বৈধ ইজারা দাবি করেছেন স্পিডবোট চালক ও ব্যবসায়ীরা।
শনিবার দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বরাবর ওই অভিযোগ দেন স্পিডবোট মালিক ও চালকরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেয়া অভিযোগে ব্যবসায়ীরা জানান,আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে বরিশাল-পাতারহাট রুটে স্পিডবোট চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতেন আওয়ামী লীগ নেতা মজনু মিয়া।তখন তিনি তাদের দলীয় দশটি বোট ছাড়া অন্য কোন বোট চলাচল করতে দিত না। ৫ আগস্টের পর এ রুটে প্রায় ৬২জন ব্যবসায়ী স্পীডবোট চলাচল করিয়ে আসছিলেন।কিন্তু গত শুক্রবার থেকে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সুরুজ ও শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুখলেসুর রহমান ও তাদের অনুসারীরা এ রুটে স্পীডবোট চালাতে বাধা দেয়।ওই দুই বিএনপি নেতার অনুসারি ঘাট দখলকারী মজনু মিয়া এখনো স্পিডবোট গুলোকে আটকে রেখেছে।
স্পিডবোট ব্যবসায়ী সুজন জানান,চরবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সুরুজ,মোকলেছ ও মজনুসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা তালতলী-পাতারহাট রুটে স্পীডবোট চলাচল বন্ধ করায় ওই রুটের শত শত মানুষ দুভোগে পড়েছেন।তারা এ ঘাটটি উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে ইজারা প্রদানেরও আহবান জানান।
স্পিডবোট চালক জাকির মিয়া জানান,বিএনপি নেতা সুরুজ কেবল তার অনুসারীদের স্পিডবোট গুলো মজনুকে দিয়া পরিচালনা করবেন এমন কথা বলতেছেন।একই সাথে অন্য কোনো স্পীডবোট চললে তাকে টাকা দিতে হবে এমন দাবি মজনুকে দিয়া করিয়াছেন।তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযোগ দিয়েছি।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন,বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে স্পিডবোট চালকরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।আমরা ওই ঘাটটি শীঘ্রই ইজারা দেব এমন প্রক্রিয়া চলছে।আর চাঁদাবাজির বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত,সদর উপজেলার তালতলী থেকে মেহেন্দীগঞ্জ রুটে স্পীডবোট চলাচলে শুক্রবার বাধা প্রদান করে বিএনপি নেতা মোকলেছ,সুরজ সহ একটি গ্রুপ।তাদের অভিযোগ,স্পীডবোট চলাচল করার কারনে নদীভাঙন তীব্র হচ্ছে।একারনে শুক্রবার নারী পুরুষ মিলে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বহনকারী স্পীডবোটও আটকে দেয়।মারধর করা হয় এক চালককে।তবে স্পীডবোট মালিক ও চালকরা জানিয়েছেন, ক্ষমতার পালাবদলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা চাঁদার জন্য এই পরিস্থিতির সৃস্টি করছে।
তবে বিএনপি নেতা মোকলেছুর রহমান বলেন,চাঁদা চাওয়া কিংবা বাধা দেয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

















