প্রতিনিধি ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১:৫৯:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল ব্যুরো॥নৌ-পরিবহন ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পাহাড়ে কেউ যাতে ইন্ধন যোগাতে না পারে সেজন্য পাহাড়িদের দুঃখ-বেদনা বুঝে,শান্তি বজায়ে সৌহার্দ্য স্থাপনে সব পক্ষকে এগিয়ে আ তে হবে।পাহাড় শান্ত না থাকলে কেউই শান্তিতে থাকতে পারবে না।পার্বত্য অঞ্চলে যাই হচ্ছে না কেনো সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে এটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।

রবিবার দুপুুরে বরিশাল মেরিন একাডেমি পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।এসময় তিনি বলেন,নৌ,বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ভয়াবহ দুর্নীতিতে মহাসাগর চুরি হয়েছে।দুর্নীতি রোধে দেশবাসীর কাছে সহায়তাও চেয়েছেন।মব জাস্টিসের পক্ষ নয় জানিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার গুরুত্ব দেন এম সাখাওয়াত।
বাংলাদেশের মেরিনদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে,দুবাই ও সিঙ্গাপুর অ্যাম্ব্যাসেডিতে নতুন দুটি পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও ঘোষনা দেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন,আমি দুইটি মন্ত্রণালয়ে আছি,এটাকে সাগর চুরি বলা যায় না,হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর চুরি।সবশেষ ১৫ বছর যে সরকার ছিলো তারা পুরো সিস্টেম করাপ্ট করে ফেলছে। এখান থেকে বের হয়ে আসা খুবই ডিফিক্যাল্ট।কোনো ডিপার্টমেন্ট নাই,কোনো সিস্টেম নাই যে করাপ্ট করা হয়নি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তো শেষ করে ফেলা হয়েছে। অলমোস্ট ফিনিশ,আমরা চেষ্টা করছি এগুলো ঠিক করার।তবে এটা ২ অথবা ৩ বছরে ঠিক করা সম্ভব না।সরকারি পাটকল একটাও চলছে না,আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো লিজ দিয়ে চালু করার।সরকারের পক্ষ ব্যবসা করা সম্ভব না।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন,নৌ মন্ত্রনালায়ে কিছু কিছু প্রজেক্ট আছে,অনেকে জানেই না কেন হয়েছে এই প্রজেক্ট।এগুলো দেশবাসীর সহায়তা ছাড়া ঠিক করা সম্ভব না।চুরি চামারি বন্ধ করতে হবে।একটা লোককে ধরলে এখন এক হাজার কোটি টাকা,একটা লোকের ৩৬০টি বাড়ি।আমাদেরও তো অনেক আগে জন্ম গ্রহন করেছি,আমরা তো কখনো দেখেনি দেশে এত বড় বড় জমিদার।দুদিন আগে কি ছিলো,আর এখন হয়ে গেছে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক।এটাই জাতির জন্য বড় সমস্যা।করাপশন রিডিউস করতে হবে,এটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
উপদেষ্টা আরো বলেন,আইনের মধ্যে সবাইকে চলতে হবে। শক্ত একশন নেওয়া উচিৎ আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে। পাহাড়ে সব সময় সমস্যা ছিলো।সেখনে বাঙালী অবাঙালী বাদে ১৩/১৪টি কমিউনিটি আছে,কেউ ছোট বা কেউ বড়।তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যরে ব্যাপার আছে।সৌহার্দ্য বজায় রাখতে হলে অপাহাড়ি যারা আছে তাদের বুঝতে হবে পাহাড়িদের দু:খ ও বেদনা।লোকালি এই সৌহার্দ্য বাড়াতে হবে।কেউ যাতে ইন্ধন যোগাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।রক্তপাত বন্ধ করাটা বেটার।
সম্প্রীতি বজায় না রাখলে সবারই ক্ষতি।দুই দিনের সফরে রবিবার বরিশাল মেরিন একাডেমি পরিদর্শন করেন নৌ-পরিবহন ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।প্রথমে একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে অভিবাদন গ্রহণ শেষে,বৃক্ষ রোপন করেন তিনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,শেখ হাসিনা সেনানিবাসের জিওসি মে.জে. আবদুল কাইয়ুম মোল্লা,বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম,বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা।











