জাতীয়

আদালত ও জণগনের ইচ্ছার বিরোধী একজন দাপুটে দিপু মনি আসলে কার লোক!

  প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩:২৩:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।নরসিংদী রেলস্টেশনের ঘটনায় মহামান্য উচ্চ আদালতের রায়কে অভিবাদন জানিয়ে মানববন্ধন করেছে একদল তরুণ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১লা সেপ্টেম্বর ২০২২) হাইকোর্ট গেটে ‘সাধারণ ছাত্র ও জনতা’র ব্যানারে এক মানববন্ধনে তারা এ অভিবাদন জানায়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থী মুহম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৬ই আগস্ট, ২০২২ তারিখ নরসিংদী রেলস্টেশনের ঘটনায় উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে, সেই রায়কে আমরা অভিবাদন জানাই।

পাশাপাশি এ রায়ের সময় মহামান্য আদালত দেশীয় মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি রক্ষায় যে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যসমূহ করেছেন সেগুলোকেও আমরা সমর্থন করি। মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আরো বলেন, আমরা আজকে এ মানবন্ধনের মাধ্যমে দেশীয় মূল্যবোধবিরোধী ও উস্কানিমূলক পোশাকসহ সকল প্রকার অপসংস্কৃতি নিষিদ্ধের দাবী জানাই।

বিশেষ করে, আপনারা হয়ত জানেন নরসিংদী রেল স্টেশনের আলোচিত ঘটনায় তরুণী যে পোশাক পড়েছিল তার নাম হলো ক্রপ টপ (crop top), যা সরাসরি আমাদের দেশে সামাজিক মূল্যবোধ বিরোধী। কেউ কেউ হয়ত দাবী করেন, উন্নত বিশ্বে সকল স্থানে পোশাক পরার অবাধ স্বাধীনতা আছে, সুতরাং আমাদের দেশে সমস্যা কোথায়? এটা আসলে ভুল কথা। উন্নত বিশ্বে সকল স্থানে পোশাক পরার অবাধ স্বাধীনতা নেই। যে ‘ক্রপ টপ’ নামক পোশাক নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা, খোদ আমেরিকার লুজিয়ানাতে সেই ‘ক্রপ টপ’ পরায় নারীকে জরিমানা গুনতে হয়েছে, এমন খবর মিডিয়াতে প্রকাশ হয়েছে।

শুধু তাই নয়, উন্নত বিশ্বে সামাজিক মূল্যবোধ বহির্ভূত পোশাক পরার দায়ে প্লেন থেকে নামিয়ে দেয়া, রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়ার মত নজির আছে। উন্নত বিশ্বে অনেক রেস্তোরায় শরীর উন্মুক্ত হওয়া পোশাক পরলে রেস্তোরার পক্ষ থেকে শরীরের ঢেকে দেয়া হয়।

ডেনমার্কে একটি স্কুলে ছাত্রদের মনোযোগ নষ্ট হওয়ার কারণে ছাত্রীদের ক্রপটপ নিষিদ্ধ করার খবর মিডিয়াতে এসেছে।

উন্নত বিশ্বে অসামাজিক পোশাক পরার কারণে Indecent Exposure আইনে হয়ে যেতে পারে মামলাও।

পৃথিবীর সকল সভ্য দেশেই সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষায় রয়েছে আইন, সে কথা মনে করিয়ে মানববন্ধনকারীরা আমাদের দেশীয় মূল্যবোধ রক্ষার্থে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানান।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থী মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমরা পোশাকের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নই, আমরা দেশীয় মূল্যবোধের পক্ষে। অনেকে স্বাধীনতার নাম দিয়ে দেশীয় মূল্যবোধ বিরোধী অপকর্মে লিপ্ত হয়, আমরা সেই বিষয়টি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই।

তিনি আরো বলেন, অশালীন বা মূল্যবোধ বিরোধী পোশাক জন-বিরক্তি তৈরী করে। তাই অশালীন বা মূল্যবোধ বিরোধী পোশাককে রাষ্ট্রীয়ভাবে পাবলিক নুইসেন্স হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

মানববন্ধনে সাধারণ জনতার পক্ষে মুহম্মদ হাবীবুর রহমান বলেন, যারা দেশীয় সংস্কৃতি ধ্বংস করে বিদেশী অপসংস্কৃতি আমদানি করতে চায় তারা Cultural Terrorist. মানববন্ধনে তিনি Cultural Terrorist দের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী করেন।

ওদিকে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী আদালতের নির্দেশ ও জনগণের এহেন চাওয়া পাওয়ার ঘোর বিরোধী! তিনি কিছুতেই মানতে রাজিনা আদালত বা জনগণের রুচিবোধ, জ্ঞান ও যুক্তি!

দিপু মনি মরে গেলেও বাঙ্গালী জাতি তাকে ভুলবে না। তিনি আপামর বাঙালী জাতির কাছে চিহ্নিত হয়ে গেলেও মনের ভাব প্রকাশ করে, যা বাঙ্গালী সভ্যতার ভাষায় চরিত্রহীন নারীদের ভালোলাগা বলা হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, একজন মানুষ মন্ত্রী হলে কি তিনি আদালতের উপরে চলে যান? দিপু মনি কি আদালত অবমাননা করলেন না?

যেহেতু পৃথিবীর সব সভ্যতার বিপক্ষে গিয়ে বাঙ্গালী নারীদের ছোট পোশাক করানোর জন্য দিওয়ানা দিপু মনি, এহেন মানসিক বঙ্গবন্ধুর পক্ষের তো হতেই পারেন না তাহলে তিনি কার লোক? কার পক্ষের সেনা?

আরও খবর

Sponsered content