প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২৪ , ১০:২৫:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর অর্থনৈতিক চাকা থুবড়ে পড়েছে।৫ অগাস্টের পর শহরে এসেছে প্রায় ১৫ লক্ষ জনবল ট্রেড এবং সার্ভিস খাতে। রাস্তায় দোকান এবং রিক্সা,ব্যাটারিরিক্সায় ছয়লাব!বর্তমান কাঠামোতে কৃষিপণ্য বিদেশ থেকে আমদানি সহায়ক যদি না কৃষি সেক্টরের আয় না বাড়ানো যায়।কৃষিকে বাচাতে হবে দেশের আর্থসামাজিক কাঠামো কার্যকর রাখতে হলে।এবং সরকারি চাকরির চাহিদা কমাতে হবে,নয়তো অতি শীঘ্রই সবার আয় সরকারিকরণের জন্য যার যা কিছু আছে সেটা নিয়ে জীবন দিয়ে রাজধানীতে অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিবে। তখন না থাকবে রাষ্ট্র না থাকবে দাবি।সব খেলার যবনিকা হবে!আর্থসামাজিক কাঠামোর পরিবর্তন।গত ২০ বছরে,বিশেষ করে ১০ বছরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ২০০১ সালে ৩০ বছরের কম, ৩০-৬০ বছর, এবং ৬০ এর বেশি বয়সী লোকের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৬৬.৫৫%, ২৭.২৩% এবং ৬.২২%, যা ২০১১ এ পরিবর্তন হয়ে দাড়িয়েছিল যথাক্রমে ৬২.১৬%, ৩০.৩৭% এবং ৭.৪৭%, এবং সর্বশেষ ২০২২ তে ছিল যথাক্রমে ৫৬.৪%, ৩৪.৩২% এবং ৯.২৫%। অর্থাৎ, ৩০ এর কম জনতার সংখ্যা ক্রমাগত কমেছে, ৩০-৬০ এর পরিমান বেড়েছে, ৬০ এর বেশি লোকের সংখ্যাও বেড়েছে। এর সাথে ২০১১ থেকে ২০২২ এ শিক্ষার হার বেড়েছে মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৯.৪% থেকে ৭২.৮২%’তে, পুরুষের ক্ষেত্রে ৫৪% থেকে ৭৬.৬%’এ। এই সামাজিক কাঠামোর পরিবর্তন অর্থনীতিতে প্রতিফলিত হয়েছে।কর্মখেত্রে এবং জাতীয় আয়ে হয়েছে কাঠামো পরিবর্তন।কৃষি এবং শিল্প খাতের অবদান কমে গিয়ে ট্রেড এবং সার্ভিস খাত উন্নীত হয়েছে। ৩০-৬০ বয়সের লোকেরা বিশেষ করে শিক্ষিতরা সাধারনত কৃষি এবং শিল্প খাতে কাজ করতে চায় না, কারন এতে পরিশ্রম প্রয়োজন,মর্যাদা নাই।তাই,২০১১ এর তুলনায় ২০২২’এ প্রায় ১০% কর্মজীবী কৃষি এবং সার্ভিস খাত থেকে ট্রেড এবং সার্ভিস খাতে চলে এসেছে কাগজে। অন্যদিকে ইনফরমালি এসেছে প্রায় ১০%।অর্থাৎ,১১ বছরে ২০% কর্মজীবী তাদের কৃষি এবং শিল্পশ্রমিক খাত থেকে ট্রেড এবং সেবা খাতে শিফট হয়েছে।এরা ভাসমান ট্রেডার এবং অটোরিক্সা চালক হয়েছে।যার প্রতিফলন হয়েছে শহুরে কাঠামোতে।মাথা পিছু আয় বেড়েছে। কৃষি খাতে একজন শ্রমিকের বার্ষিক গড় আয় ১১,০০০ টাকা মাত্র,শিল্প শ্রমিকের গড় বার্ষিক আয় ৬৬,০০০ টাকা,অথচ ট্রেড এবং সার্ভিসে সেটা ৯০,০০০ টাকা। অন্যদিকে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ২০১১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রায় ৫০% বেড়েছে,তাদের বার্ষিক আয় গড়ে ৬,০০,০০০ টাকায় উন্নীত হয়েছে।যার,চূড়ান্ত প্রতিফলন- কৃষি পণ্যের উতপাদন কমেছে,বেড়েছে মুল্য।অন্যদিকে গড় আয় বেড়েছে,তাই হয়েছে মুদ্রাস্ফীতি।গ্রাম থেকে ছুটে আসছে ২০-৬০ বছরের কর্মজীবীরা শহরে মাথায় টুকড়ি বা ভ্যান নিয়ে,নিযুক্ত হয়েছে ট্রেড এবং সার্ভিসে। ২০১১ সালে শহুরে পরিবার ছিল ৭৫ লাখ,যা বেড়ে ২০২২’এ হয়েছে ১৩২ লক্ষ। বাস্তবে এটা আরোও অধিক বেড়েছে।

















