সম্পাদকীয়

অভিযোগকারী-অভিযুক্ত-ভিক্টিম সবাই নারী এবং একজন আরেকজনকে দোষ দিচ্ছেন!

  প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০২২ , ১:৩৩:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।আমার জানামতে আপন মেয়ের সংসার নষ্ট করে দিয়েছেন অনেকেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী হিসেবে নিজেদের যাহির করে যাচ্ছে! প্রতিহিংসার কারনে আবার অনেক শ্বাশুড়ি তার পুত্র-বধূর জীবন বিষিয়ে তুলেছে অযথাই। অনেকেই হয়তো বউ তার শ্বাশুড়িকে নিয়ে দুই লাইন সহ্য করতে পারেনা।অথচ এরা সবাই নারী!!!!

বিচারিক আদালতে এক মেয়ে তার আপন পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা করেছেন।সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো পিতাকে এই ঘৃন্য কাজে সহায়তা করেছেন মেয়ের গর্ভধারিণী আপন মা!আদালত মা’কে জামিন দিলেও পিতাকে চারদিনের মধ্যে আত্নসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন!!!

এসব খবর পড়ে মনেহলো একজন পুরুষ মানুষের চাইতেও অনেক বেশি ভয়ংকর একজন নারীর ভয়ংকর শত্রু অপর একজন নারী!

ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজের ঘটনারও একদল নারী অভিযোগ করেছেন অপর নারীদের বিরুদ্ধে!অভিযুক্ত নারীরা কলেজের হলের কিছু সংখ্যক ছাত্রীকে দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করাতেন!সত্য-মিথ্যা জানেন উপর আল্লাহপাক ভালো জানেন!

বাস্তবতা হলো,অভিযোগকারী-অভিযুক্ত-ভিক্টিম সবাই নারী এবং একজন আরেকজনকে দোষ দিচ্ছেন!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) ভাইরাল হওয়া সংবাদের ভিত্তিতে এসব ঘটনাপ্রবাহ জানার সুযোগ হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে,একজন নারীর সংসারে অশান্তি সৃষ্টির মূল কারিগর’ই থাকেন অপর আরেকজন নারী!

অতি:সম্প্রতি যেসব ঘটনা ফেসবুকে আলোচিত হচ্ছে সেটা একজন নায়িকা আরেকজন নায়িকা’কে দোষারোপ করছেন তার সাংসারিক জীবনে প্রব্লেম সৃষ্টি করার জন্য!কিছুদিন আগেতো আরেক নায়িকা এমন একজন নায়ক’কে বিয়ে করে বসলেন যার আগের ঘরের স্ত্রী-সন্তান সবই আছে!

ঢাকা মেডিক্যাল সহ সরকারি-বেসরকারি যতগুলা হাসপাতালে নবজাতক শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। নবজাতক শিশু চুরির ঘটনায় দেখা গেছে, প্রত্যেক’টা ঘটনাতেই একজন নারী সম্পৃক্ত রয়েছে!হাসপাতালের চিকিৎসক,সেবিকা,আয়া-বুয়া কিংবা কোনো নিকটজনরা!একজন নারী হয়ে অপর নারীর কোলের সন্তান কেড়ে নিতেও তাদের বিবেকে বাধা দেয়না!!!

সংঘবদ্ধ নারী চক্ররা নতুন বিজনেস নিয়ে মাঠে নেমেছেন। সেই বিজনেসের নাম দেয়া হয়েছে ‘ কাবিন নামা ‘ বিজনেস। এই বিজনেসে মাত্র দুই থেকে ছয়মাসের ব্যাবধানে খুব সহজে অনেক টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছেন তারা কেউ কেউ।

কতিপয় সুন্দরী নারীরা ফেসবুকে নিজেকে দ্বীনদার-ডিভোর্সী কিংবা অসহায় তুলে ধরে শিকারের খোঁজ করে বেড়ায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের টার্গেট থাকে,প্রবাসী কিংবা বিদেশ ফেরত অথবা উচ্চবিত্ত ঘরের পুরুষ’রা।এরপর উচ্চ কাবিন ধরে বিবাহ করা হয়।দুইমাস ঘর সংসার করার পরে সুযোগ বুঝে হাউকাউ বাধায়ে ডিভোর্সের মাধ্যমে কাবিনের টাকা হাতিয়ে নেয়াই থাকে তাদের মূল উদ্দেশ্য।

আর এভাবেই সামাজিক এবং মানসিক আর আর্থিকভাবে নিঃস্ব করে দেয়া হচ্ছে বহু পরিবার’কে। আমি এখানে কাউকে নির্দিষ্ট করে কিছু বলছিনা কিন্তু উপড়ের এই ঘটনাগুলি মিথ্যাও নয়।

সবাই তো খারাপ না। সবাই খারপ হলে এই জগত সংসার টিকে থাকতো না।

কিন্তু বাস্তব বিষয় এটাই যে, একজন নারীর সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা অপর একজন নারীর দ্বারাই হয় বেশিরভাগ সময়।

আরও খবর

Sponsered content