প্রতিনিধি ১১ নভেম্বর ২০২৪ , ৫:০৬:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।কেন্দ্রীয় পর্যায়ের ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত যেসব শিক্ষপ্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বাইরে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সোমবার অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়,২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশের সব সরকারি (সরকারিকরণসহ) ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়ের) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে।কেন্দ্রীয় পর্যায়ের ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত যেসব প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বাইরে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সে সব প্রতিষ্ঠানকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে নিচের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারি ব্যতীত অন্য কোন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না,শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন ফরমের ফি (সরকারি ও বেসরকারি) কোনোক্রমেই ১১০ টাকার বেশি গ্রহণ করা যাবে না,প্রতি শ্রেণি-শাখার বিপরীতে কোনোভাবেই ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না,ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে যৌক্তিক কোন কারণে সরকারি-বেসরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত হতে না পারলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করবে।তবে সেক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে,ঢাকা মহানগরীর বাইরে অর্থাৎ জেলা পর্যায়ের ক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালায় গঠিত সংশ্লিষ্ট জেলা ভর্তি কমিটি এবং উপজেলা পর্যায়ের ক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালায় গঠিত সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ডিজিটাল-ম্যানুয়ালি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
উল্লেখ্য,কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিভিত্তিক শূন্য আসনের তুলনায় আবেদন সংখ্যা কম হলে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো লটারি ব্যতীত সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে,সর্বোপরি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে,ওপরের উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।
এমন পরিস্থিতিতে,২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করার লক্ষে সব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ওপরের নির্দেশনা যথাযথ প্রতিপালন করার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে শূন্য আসনের তথ্যসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়েছে ১০ নভেম্বর।নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি পর্যায়ের রেজিস্ট্রেশন করেছে ৬৯৩টি আর প্রোফাইল আপডেট করেছে ৬৮২টি। অপরদিকে বেসরকারি পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন করছে ৪ হাজার ৯৪৬টি আর প্রোফাইল আপডেট করেছে৩ হাজার ১৯৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবারে সরকারি স্কুলে আসন সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪০৪টি আর বেসরকারিতে আসন রয়েছে ১০ লাখ ৮ হাজার ১৫১টি।
মোট সরকারি-বেসরকারি ৫ হাজার ৬৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন করেছে আর প্রোফাইল আপডেট করেছে মোট ৩ হাজার ৮৮১টি এর বিপরীতে মোট ১১ লাখ ১৬ হাজার ৫৫৫টি আসন রয়েছে।