প্রতিনিধি ৩০ এপ্রিল ২০২৪ , ৩:৪৩:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।যে সমাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বাবার আশ্রয় হয় বৃদ্ধাশ্রমে,ছেলে-মেয়ে কানাডা-আমেরিকা থাকে অন্যদিকে বাবা-মা দিনের পর দিন পরে থাকে আশ্রমে, প্রতিবন্ধী সন্তান হলে বাবা-মা সে সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়,সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু ডাস্টবিবের পাশে পড়ে থাকে,সে সমাজে মিল্টনরা “ভয়ঙ্কর প্রতারকের” তকমা পাবে, স্বাভাবিক।
https://www.facebook.com/miltonsamadder.info
এক মিল্টন সমাদ্দার রাস্তায় পঁচা-গলা,পাগল-অসহায়,দুস্ত মানুষদেরকে তাঁর মিরপুর আশ্রমে লালন-পালন শুরু করলো। তাঁর মানবিক কাজ দেখে মানুষ তাঁকে ২০-৫০ টাকা দিয়ে সাহায্য করলো।আস্তে আস্তে সে আশ্রমটা বড় হতে লাগলো। তাঁর এ মহৎ কাজ দেখে সরকারও তাঁকে পুরষ্কৃত করলো।
তাঁর এ আশ্রমের বয়স ১০ বছর পূর্ণ হলো।কিছু পরশ্রীকাতর মানুষ দেখলো মিল্টন ৫-৬ কোটি টাকা দিয়ে সাভারে আশ্রম তৈরি করছে,প্রতি মাসে মানুষ আশ্রমে লক্ষ টাকা দান করছে। সুতরাং তাকে টেনে নিচে নামাতে হবে।যতক্ষণ না মিল্টনকেও রাস্তায় নামানো যায়,তাদের এ প্রচেষ্টা চলবে।
আচ্ছা,আপনি এ সমাজের জন্য কী করেছেন?ক’জন মানুষকে রাস্তা থেকে তুলে এনেছেন?ডাস্টবিনের পাশে শুয়ে থাকা ক’জন মানুষকে একটা রুটি কিনে দিয়েছেন?মসজিদ/মাদ্রাসায় ২-৪ টাকা দান,ফেতরা-যাকাত দিয়ে নিজেকে বড় দানবীর ভাবছেন,আর মনে করছেন সমাজের প্রতি আপনার দায়িত্ব শেষ।
ভাই,থামেন। সমালোচনা সবাই করতে পারে,এটা পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ কাজ।একটা কিছু শুরু করে দেখেন,ক’জন আপনার পাশে থাকে, ক’দিন ঈমানদারের সহিত কাজ করতে পারেন।বাদ দেন,একটা কাজ করেন; মিল্টনকে থামিয়ে দিয়ে আপনি এ কাজটা শুরু করেন।
-পাশে আছি।