প্রতিনিধি ২৬ আগস্ট ২০২৪ , ৩:৫০:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আনা হয়েছে। সেখানে তাকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
ঢামেক হাসপাতাল থেকে সোমবার দুপুরে তাকে সিএমএইচে স্থানান্তরিত করা হয়।হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন,আমাদের হাসপাতালে অনেক ভিড় ও জটলা।কোনোভাবে এই ভিড় আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না।হাসনাত আব্দুল্লাহর বিশ্রাম প্রয়োজন।তাই তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা জরুরি।আরও ৪৮ ঘণ্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। এরপর হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
যদিও এর আগে সকালে হাসনাত আব্দুল্লাহকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে কেবিনে দেওয়া হয়।হাসনাত মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন।বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা দেওয়া হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ,বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান,আইন,বিচার ও সংসদবিষয়ক আসিফ নজরুল। হাসনাত ও আহতদের দেখার পর আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন,কালকের ঘটনায় আমরা খুবই ব্যথিত। আহত সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ আগের চেয়ে ভালো আছে।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয় এলাকায় গত রোববার রাতে আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল ৬০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।সোমবার বাকি চারজনকে ঢামেক থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
আনসারদের সংঘর্ষে প্রথম আলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আসিফ হাওলাদারও আহত হয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেশি থাকায় আসিফকে রাজধানীর বেসরকারি ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ চিকিৎসা হয়।পরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।এখন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছেন।আর আপাতত বিশ্রামে রয়েছেন।’