জাতীয়

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চলমান থাকবে-অর্থ উপদেষ্টা

  প্রতিনিধি ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:১৬:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘প্রকল্প চলমান থাকবে।ঋণ পরিশোধের সময়সীমা আরও দুই বছর বাড়ানোর জন্য রাশিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন।রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত রূপপুর প্রকল্পের বাস্তবায়ন এবং ঋণ পরিশোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি যে,আমরা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করব ‘

আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশকে আরও তিন বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) খুবই ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে।একই সঙ্গে আইএমএফ জানতে চেয়েছে,অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের ঋণের শর্তাবলি সংস্কারের পরিকল্পনা করেছে কিনা।আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি যে সে ঋণের বাস্তবায়ন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং আমরা কখনও ব্যর্থ হব না।’

সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন,আমরা ইতোমধ্যে আমাদের দেশের বাজেট সহায়তার জন্য আইএমএফকে আরও তিন বিলিয়ন ডলার ঋণের ইঙ্গিত দিয়েছি এবং তারা এ বিষয়ে ইতিবাচক।আমি অক্টোবরে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইএমএফ’র বোর্ড মিটিংয়ে সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করব।’এর আগে,আইএমএফের একটি পর্যবেক্ষক মিশন সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফর করবে বলে তিনি জানান।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইএমএফ’র বাংলাদেশের জন্য নিযুক্ত প্রধান পাপাজিওর্জিউ এবং সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে একটি অনলাইন সভা করেন। সেখানে ক্রিস পাপাজিওর্জিউ নতুন ঋণ প্রদানের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট সামাল দিতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সংস্কারের শর্তে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। আইএমএফের এ ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে প্রতিটি কিস্তি পেতে বেশ কিছু শর্ত প্রতিপালন করতে হচ্ছে। ঋণচুক্তির অন্য অনেক শর্ত পরিপালন করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর রিজার্ভ-সংক্রান্ত শর্ত পরিপালন করতে পারছে না বাংলাদেশ।তার পরও ইতোমধ্যে তিন কিস্তিতে প্রায় ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বা ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ।২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার চুক্তি রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content