সারাদেশ

মেহেন্দিগঞ্জে খালে অবৈধ বাঁধ,পাঁচশত একর ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

  প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২৪ , ৩:২৩:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মেহেন্দিগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি।।বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আলিমাবাদ ইউনিয়নের গাগুরিয়া এলাকায় অনেক বছরের পুরোনো খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ পাশ্ববর্তী ভোলার বিশ্ব রোড এলাকার নুরুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে।

এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বাঁধের উপর দাড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে কৃষকরা বলেন এই বাঁধের কারণে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় নদীর উজানে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।এতে তাদের ইউনিয়নের প্রায় ৫শত একর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।তারা জলাবদ্ধতা নিরসনসহ খাল ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

মেহেন্দিগঞ্জের গাগুরিয়া গ্রাম আর ভোলার ভেদুরিয়া দুরিয়া ফেরিঘাট ব্রিজ সংলগ্ন খালের মধ্যবর্তী স্থানে ৫০ ফুট বাঁধ নির্মাণ করেন।পরে মাটি দিয়ে খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেন তারা।এরই মধ্যে গত কয়েকদিনের বৃষ্টি আর নদীর উজানের পানিতে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে প্রায় ৫০০ একর জমির আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে।পাশাপাশি গ্রামের প্রায় ২শতাধিক পরিবার জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়েছেন।মুরগির ফার্ম ও গরুর ফার্মে পানি ঢুকে গৃহস্থরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

গাগুরিয়া গ্রামের কৃষক সাহাব উদ্দিন হাওলাদার,টগন হাওলাদার,জমশেদ আলম বলেন,বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় আমাদের জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।একই গ্রামের আবুল কালাম মাতব্বর বলেন,বাঁধের কারনে তার ৮ একর জমির বীজতলা পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হয়েছে। একই অভিযোগ অসংখ্য মানুষের।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন বাপ্পি অবৈধভাবে সরকারি খাল দখলের কথা স্বীকার করে বলেন,খাল ভরাটের ফলে কৃষির ব্যাপক ক্ষতি ও মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

খাল ভরাটের অভিযোগ স্বীকার করে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম মিয়া বলেন,আমার জমিতে যাতায়াতের জন্য খালে বাঁধ দিয়ে ভরাট করেছি।তবে স্থানীয় চাষা এবং কৃষকদের অনুরোধে বেকু নিয়ে বাঁধ কাটতে গেলে ভোলার সাবেক ইউপি সদস্য মিজান খালাসি ও তার ভাই জসিম খালাসী বাঁধা দেন। যার ফলে বাঁধ কাটতে পারি নাই।

আরও খবর

Sponsered content