প্রতিনিধি ১১ নভেম্বর ২০২৪ , ৩:৪৩:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।মেয়ের বয়স যত বাড়ছে,ততই সে সুন্দর হচ্ছে।তবে বাবা,মায়ের সঙ্গে চেহারার কোনও মিল নেই। এমনকী পরিবারের কারও সঙ্গে মেয়ের চেহারার কোনও মিল খুঁজে পাননি বাবা।এর থেকেই শুরু সন্দেহ।স্ত্রীর সঙ্গে নিত্যদিন ঝামেলা।অবশেষে মেয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করালেন বাবা। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখেই রীতিমতো হতভম্ব হয়ে যান তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর,ঘটনাটি ঘটেছে ভিয়েতনামে।ল্যান নামের এক কিশোরী হ্যানয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে জানতে পারে,তার সহপাঠীর জন্মদিন একইদিনে। এমনকী এক শহরের এক হাসপাতালেই তারা জন্মেছিল।ল্যান ও তার বন্ধুর জন্মদিন একসঙ্গে পালন করা হত স্কুলে। সম্প্রতি জন্মদিনে বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল ল্যান।তাকে সামনে দেখেই চমকে যান বন্ধুর মা।কারণ ল্যানের সঙ্গে বন্ধুর মায়ের চেহারার হুবহু মিল রয়েছে।
এরপরই ল্যানের মা হংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বন্ধুর মা। দুই বান্ধবীর চেহারা নিয়ে আলোচনাও করেন তাঁরা।অবশেষে দুইপক্ষ মেয়েদের ডিএনএ পরীক্ষা করায়।তাতেই ধরা পড়ে, হাসপাতালের ভুলে তাঁদের সন্তান বদলে যায়।দীর্ঘ কয়েক বছর পর ডিএনএ পরীক্ষার পর তা জানতে পারেন সকলে।
হং জানিয়েছেন, মেয়ের চেহারা নিয়ে স্বামীর সন্দেহ হয়েছিল শুরুতেই। তাঁর সন্দেহ ছিল, হং বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। ল্যান যে তাঁর সন্তান নয়, এমনটাই সন্দেহ হত। এর জেরেই তুমুল ঝামেলা করতেন। অবশেষে বাড়ি ছেড়ে ল্যানকে নিয়ে হ্যানয়ে থাকতে শুরু করেন হং। সেখানে স্কুলে ভর্তি করার পরেই আসল সত্যি সামনে আসে।