অপরাধ-আইন-আদালত

বরিশাল নগরীর আবাসিক হোটেলগুলো যৌন পল্লির অভ্যরন্যে পরিনত!!!!

  প্রতিনিধি ২৫ এপ্রিল ২০২২ , ৫:০৪:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:- বরিশাল নগরীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা আবাসিক হোটেলগুলোতে দেদারসে চলছে পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসা।এখনকার কিছু সংখ্যক হোটেলে প্রকাশ্যে দিনরাত সমানতালে আসা-যাওয়া করে খদ্দের-পতিতারা। আবাসিক হোটেলগুলো হয়ে উঠেছে স্কুল-কলেজের প্রেমিক-প্রেমিকাদের সর্গরাজ্যের আড্ডাখানা..!দেদারসে চলছে পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসা ও পরকীয়া প্রেমের জুটি। নগরীর প্রায় ৩০-৪০টি হোটেলে প্রকাশ্যে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে।রসারস ও যৌবনের জ্বালা মেটানোর জন্য বরিশাল নগরীর হোটেলগুলো যৌনপল্লির অভ্যরন্যৈ পরিনত হয়েছে। সমাজের বির্বেগর্জিত এরকম গোপন ব্যভিসারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও সচেতন মহল। যৌনপল্লির অভ্যরন্যৈ অসংখ্যক কিশোর-কিশোরী,যুবক-যুবতী, মধ্যেবয়সীদের যাতায়াতে সমাজ অন্ধকার গলিতে হাবুডুবু খাচ্ছে!!!সচেতন মহলের প্রশ্ন হলো দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি পতিতাবৃত্তির মদদ যোগাচ্ছে?!দেখেও কেনইবা না দেখার ভান করে ব্যবস্হা নিচ্ছেনা।দীর্ঘ দিন ধরেই ইতিহাসের এক কলঙ্কময় জঘন্যতম নিকৃষ্টতম দেহব্যবসা চলছে।তবুও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা নিশ্চুপই নিরবতা পালন করেছেন। বরিশাল নগরীতে ঝামেলা ছাড়াই চলছে পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসা। তাদের বক্তব্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাসোহারা নিয়ে নিশ্চুপ দর্শক হিসেবে অবতীর্ণ হয়। যৌনপল্লির হোটেলে গিয়ে নারী নিয়ে মাদক সেবন করে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমোর্দ-ফুর্তি করে বলে জানান হোটেলের সংশ্লিষ্টরা। মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে মাঝেমধ্যে নামমাত্র হোটেলগুলোতে অভিযান চললেও আগেই বার্তা পাঠিয়ে দেয় হোটেলের ম্যানেজার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে। অবশ্যই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বরিশাল নগরীর হোটেলগুলোর পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কারণেই তাদের এসব উদ্যোগ কার্যত ভূমিকা রাখতে পারছে না। বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দীন হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, বরিশাল নগরীতে কোন পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসা চলবে না। বরিশাল জেলার সকল অবৈধ কর্মকান্ড নির্মূলের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জানান, অপকর্মকারী মে হোক, তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে বিনিময়ে স্বপ্ল সময়ে চাহিদা অনুযায়ী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে মর্ত্ত হয়ে রীতিমতো সন্তুষ্ট খদ্দের-পতিতারা। বরিশাল নগরীর হোটেলগুলো যৌনপল্লিতে পরিনত হওয়ায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ব্যতিক্রম তামাশা।আর এ ঘটনায় রীতিমতো অবাক সংশ্লিষ্টরা। বরিশাল নগরীতে বেড়েই চলেছে পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসা। এরফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে অপরাধ প্রবণতা। জঙ্গিবাদ -মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী হামলা,খুন-জখম, ধর্ষণ, গনধর্ষণ, মাদকাসক্তি, নারী- শিশু নির্যাতন ও পাচার প্রভৃতি অপরাধে চেয়ে গেছে।এর একটি মাত্র কারণ পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসা।যারকারনে অপরাধ জগতের বাসিন্দা হয়ে উঠেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও যুব সমাজ। বরিশালের ছোট -বড় সকল হোটেলে প্রকাশ্যে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। প্রেমিক-প্রেমিকার অবাধে মেলামেশার হোটেলগুলো যৌনপল্লির অভ্যরন্যৈ পরিনত হয়েছে। প্রেমিক-প্রেমিকার অবাধে মেলামেশার সুযোগ করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। পরকীয়া প্রেমের জুটি বেঁধে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে হোটেলগুলো। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রেমিক- প্রেমিকার ও পরকীয়া প্রেমের জুটি হয়ে উঠেছে হোটেলগুলো।প্রতিঘন্টায় রুম ভাড়া ১হাজার থেকে ২হাজার টাকা আদায় করে। পাশাপাশি যৌন মিলনে স্হায়ী ও আরামদায়কের তোয়কমা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকাসক্ত করে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের কাছে মাদক বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।এ টাকা প্রেমিক-প্রেমিকার জুটির কাছে কিছু মনে হচ্ছে না।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রেমিকাদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে মিলিত হচ্ছে প্রেমিকা ও পরকীয়া প্রেমের জুটিরা। বরিশাল নগরীর মাদক ও জাল টাকার ব্যবসার পাশাপাশি যৌনকর্মীদের দালাল চক্রের মূলহোতা এক সময়ের ফেরিওয়ালা শুক্কুর খাঁন ও এস এম ফরিদ।তারা রুপাতলী বাসিন্দা হিসেবে পরিচিত। পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসা করে করে শতাধিক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাদের সহযোগী মনির ওরা তিনজন নারী পাচারকারী ও জালটাকার ব্যবসা করে যাচ্ছে। আরেকজন হলেন বরিশাল নগরীর ভাটিখানা কাজীবাড়ির মসজিদ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা নারী পাচারকারী হিসেবে পরিচিত পতিতাবৃত্তি-মাদক ব্যবসার মূলহোতা হুমায়ূন কবির ওরফে ইয়াবা বাদশা। বাদশার পিতার নাম আঃ বারেক বর্তমানে সে পুরানো বাকলার মোড় ভাটিখানা এলাকা থেকে বাসা পরিবর্তন করে রুপাতলীতে বাসা ভাড়া করে থাকে। বাদশার রয়েছে তিন স্ত্রী পতিতাবৃত্তি-মাদক ব্যবসার পাশাপাশি যৌনকর্মীদেরও দালাল চক্রের মূলহোতা। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনার আগেই সতর্ক বার্তা পেয়ে ইয়াবা বাদশা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত ভাটিখানা কাজীবাড়ির জোড় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পতিতা ও মাদক নিয়ে রাখেন। পরে অবস্থা স্বাভাবিক ভাবেই ফিরে আসে, অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে পতিতালয়ের পতিতাদের খদ্দের কাছে নিয়ে যান। বাদশার বিরুদ্ধে হত্যা, নারী পাচার, মাদক-জালটাকার ব্যবসা সহ প্রভৃতি অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬-৮টি মামলা রয়েছে। বাদশার অন্যতম সহযোগী জুয়েল।এরা ব্লাকমেইল করে গ্রাম-গঞ্জের সহজ-সরল নারীদের কুট-কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথিত বিয়ে করার পর নারীদের দেহব্যবসা ও মাদক ব্যবসায় জড়িত দেয়।
এস এম ফরিদ-শুক্কুর নজরুল মনির হুমায়ূন কবির সাখাওয়াত বিথি রুপা জেসমিন যূথী সহ বেশকয়েকজন পরিচালনার করছে পতিতাবৃত্তি-মাদক ব্যবসা।এরা নারী পাচারকারী ও জালটাকার ব্যবসা করে যাচ্ছেন। কিশোরী মেয়েদের নানাবিধ প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাম-গঞ্জের সহজ-সরল নারীদের কুট-কৌশলে নগরীতে এনে দেহব্যবসা-মাদক ব্যবসা সহ নানা ধরনের অপরাধ জগতের বাসিন্দা বানিয়ে ফেলেছে। নারী ও মাদক সাপ্লাই দেন ফরিদ, আলম,বেল্লাল, কবির,সাখাওয়াত, রাসেল, মান্না পাহাড়ী, রুপা,জেসমিন, যূথী, মনির, হুমায়ূন, তপন ভদ্র সহ ৪০জনের নাম অনুসন্ধানে জানা গেছে। নগরীর হোটেলগুলো যৌনপল্লিতে পরিনত হওয়ায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও কর্মীরাও ছদ্মবেশে অপরাধ জগতের বাসিন্দা হয়ে উঠেছে। সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা আবাসিক হোটেলগুলোতে দেদারসে চলছে পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসা সহ অনৈতিক কর্মকাণ্ড। ছোট -বড় সকল হোটেলে প্রকাশ্যে অসামাজিক কার্যকলাপে মিলিত হচ্ছে প্রেমিকাদের নিয়ে প্রেমিকা। পিছিয়ে নেই পরকীয়া প্রেমের জুটি। বরিশালের শীর্ষে নামকওয়া হোটেল প্যারাডাইস, সিভিউ, বিসমিল্লাহ,তিতাস, কুয়াকাটা,আজ, হোটেল ধানসিঁড়ি, হোটেল ইম্পেরিয়াল, ইসলামীয়া, সানফ্লাওয়ার, বরিশাল,গালিব, জিলানী,স্বাগতম, সাগরিকা,পূর্নিমা, পায়েল,তাজমহল,ছিল সহ ৬০টি আবাসিক হোটেলে নিয়মিত যাতায়াত করে দেহব্যবসায়ীরা ও মাদক ব্যবসায়ী এবং খদ্দেররা। প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাসোহারা টাকার বিনিময়ে দেহ ও মাদক ব্যবসা মদদ যোগাচ্ছে।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পতিতাবৃত্তি-মাদক ব্যবসার পাশাপাশি যৌনকর্মীদের দালাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বরিশাল নগরীর সকল স্কুল-কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেই ক্ষ্যান্ত এসব নারী পাচারকারী ও জালটাকার ব্যবসায়ীরা বরিশাল বিভাগের প্রত্যাঞ্জলের নিম্ন পরিবারের কিশোরী মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথিত বিয়ে করার পর নারীদের দেহব্যবসায় জড়িয়ে দেয়া হয়। ঝালকাঠি জেলা থেকে আসা এস এম ফরিদ-শুক্কুর, মনির হুমায়ূন কবির ওরফে ইয়াবা বাদশা নারী পাচার মাদক-জালটাকার ব্যবসা করে যাচ্ছেন।তারা কোনো ঝামেলা ছাড়াই এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। রাতারাতি গড়েছে সম্পদের পাহাড়।এস এম ফরিদ-শুক্কুর রুপাতলী বাসিন্দা হিসেবে পরিচিত পতিতাবৃত্তি-মাদক ব্যবসা করে অত্যাধুনিক দৃষ্টি নন্দন বাড়ি -গাড়ি সহ শতাধিক কোটি টাকার বিভিন্ন স্হাপনা। মনিরের অত্যাধুনিক দৃষ্টি নন্দন পার্ক সহ ৫তলা সুরমা ভবন, মাল্টিপারপাস লিমিটেড এর ব্যবসা, মাছের ব্যবসা সহ শতাধিক কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
চকেরপুল সংলগ্ন এলাকায় হোটেল অতিথি নামক চিহ্নিত পতিতিলয়ের কথিত শ্রমিক নেতা দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, জসিম, ইদ্রিস, ইসমাইল অসামাজিক দেহব্যবসা করে আসছে। গত কয়েক দিন ৫০লাখ টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে বলে জানান হোটেলের সংশ্লিষ্টরা। এতো টাকা দিয়ে কি হোটেলের লাইসেন্স নবায়ন করা কোনো প্রশ্ন ওঠে না।এর জবাবে বলেন, আমরা পর্যটকের সকল অবৈধ-বৈধ সুযোগ দিয়ে থাকি। সেই জন্য লাইসেন্স নবায়ন ফি বেশি হলেও কিছু মনে হচ্ছে না। বরিশাল মহসিন হকার্স মার্কেটের সামনে মা বোডিংয়ের মালিক বিএনপির নেতা ও ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাঈদ ও আরেক ১০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনের মালিকানাধীন চলছে হোটেল সাউথ কিংয়ের বিপরীতে রয়েছে হোটেল আজ।এ হোটেলের ম্যানেজার বাবু। পতিতা ব্যবসায়ী বাবুর বক্তব্য র্যাব-পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে মাদক সেবন করে ও নারীদের নিয়ে আমোর্দ-ফুর্তি করে যায়। কুমিল্লার বিপরীতে রয়েছে হোটেল চিল, হোটেল অতিথি, হোটেল সি ভিউ আবাসিক, ফলপট্টিতে ভোলা বোডিং, হোটেল বিসমিল্লাহ, হোটেল চন্দ্রদ্বীপ, হোটেল পার্ক, হাসপাতাল রোডে ফারুকের পরিচালনায় প্যারাডাইস-১ কাটপট্টি রোডে হোটেল পূর্নিমা, হোটেল তিতাস, চকবাজারে হোটেল জিলানী, হোটেল কুয়াকাটা, হোটেল ইসলামী, বরিশাল, গালিব সহ বেশকয়েকটি আবাসিক হোটেলে নিয়মিত যাতায়াত করে দেহব্যবসায়ীরা ও খদ্দেরা। পুরোদমে চলছে পতিতাবৃত্তি-মাদক ব্যবসা। পতিতা ব্যবসায়ী ফারুক পূর্বে বিএনপির নেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর খোলস বদলিয়ে কথিত শ্রমিক লীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। ফারুক হাসপাতাল রোডে অমৃত লাল কলেজের কচিকাঁচা নারী শিক্ষার্থীদের পতিতাবৃত্তি-মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতিমাসে মেয়েদের দিয়ে মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে।ওই এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা ফারুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করায় অভিযোগকারীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কোন সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করতে পারে না। আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করে সাংবাদিকদের সুহান বরিশালে হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা রাখেনা।র্যাব-পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাসোহারা টাকার বিনিময়ে দেহ ও মাদক ব্যবসা করি। হোটেল আজ”রং পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জাকির হোসেন বাবুর বক্তব্য মাদক সম্রাট রফিকুল ইসলাম একটি আঞ্চলিক পত্রিকার মালিক।এসব পতিতাবৃত্তি-মাদক ব্যবসায়ীরা পথচারীদের দেখলেই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রস্তাব দেন।তারা তাদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে হোটেল যান,তারা পড়ে জলের কুমির ডাঙার বাঘের খপ্পরে অর্থ-কড়ি সব হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যায়।
এই সকল আবাসিক হোটেলগুলোর পতিতালয়ের চাহিদা শেষ তারা হয়ে ওঠেন ভ্রাম্যমান দেহব্যবসী।এরা সকল থেকে রাত পর্যন্ত বরিশালের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, পুলিশ প্রশাসনের কার্যালয়, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, পুলিশ-ডিআইজির কার্যালয়, বরিশালের বিভাগের প্রধান ডাক অফিস, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ,সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিস,সেটেলমেন্ট অফিস, রেকর্ড রুম,সদর উপজেলা পরিষদ, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে ঘোরাঘুরি করে পথচারী ও কার্যালয় সমূহে সেবা নিতে আসা পুরুষদের সরাসরি অনৈতিকভাবে যৌন মিলনের কুঃপ্রস্তাব দেয়। দিনমজুরীদের আনাগোনা বেশী। হোটেলগুলোতে শুধু অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে না। ইয়াবা,মদ,গাঁজা, হিরোইন ব্যবসাও জমজমাট।কেননা এসকল মাদক সেবনের পর নারীদের সাথে যৌন সঙ্গমে দীর্ঘস্থায়ী হয় ও পরিপূর্ণ তৃপ্তি পায় বলে জানান খদ্দেররা। তাই ইয়াবা ও হেরোইনসহ কম বয়সী তরুণীদের দিকে আকৃষ্ট হয় খদ্দরেররা। তদবিরের মাধ্যমে সিমান্য অর্থের বিনিময়ে দেহ ও মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তারা নিজেদের নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছেন। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপক রদবদল হলেও কোনো কার্যত ভূমিকা রাখতে পারছে না। অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে অভিনব কায়দায় এসব পতিতাবৃত্তি-মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয়ভাবে ঝামেলা ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এসব হোটেলে আসা পুরুষদের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন সেট,স্বর্নালাংকার প্রভৃতি দামীও মালামাল। আবার কখনো এমনও ঘটনা ঘটেছে, পতিতাদের দিয়ে কৌশলে হোটেলগুলোর গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে পর্নগ্রাফি তৈরি করে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। তাদের ফাঁদে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রেমের জুটি। স্কুল-কলেজে পড়াশোনার নামে চলে যাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপে। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাম-গঞ্জের সহজ-সরল শিক্ষার্থীদের আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। নারী শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়নের পর্নগ্রাফি তৈরি করে ব্লাকমেইল করে হাতিয়ে নেয় টাকা,স্বর্নাংকার, মোবাইল ফোন সেটসহ দামীও ব্যবহারিক সরঞ্জাম। হোটেলের সামনে আসা মাত্র কুট-কৌশলে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। তাদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করলেই জলের কুমির ডাঙার বাঘের খপ্পরে আটকে পড়বে। এসব হোটেলগুলোতে পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক দৃষ্টি না থাকায় অহরহ ঘটছে পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসায়ীদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড। পুলিশ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা মাসোহারা বানিজ্য করছে।এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট হোটেলগুলোর ম্যানেজাররা জানান, পুলিশ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা ও সাংবাদিক নেতারা মাসোহারা টাকার বিনিময়ে দেহ ও মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে নারাজ। সচেতন মহলের বক্তব্য সমাজ অন্ধকার গলিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। এসব পতিতাবৃত্তি-মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করতে হবে। হোটেলগুলোর পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করে।যারা সমাজের সকল অবৈধ কর্মকান্ড নির্মূল করবে, তারাই অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে যায়। তাহলে সমাজ থেকে এসব অপকর্ম নির্মূল করা সম্ভব নয়।কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী মধ্যেবয়সীদের এসকল অপরাধ জগতের হাত থেকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ডেকে এনে দেহব্যবসায় ও মাদক ব্যবসায়ী নির্মূল করতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোন পতিতাবৃত্তি -মাদক ব্যবসায়ীদের ছাড় দেয়া হবে না।
বিস্তারিত আসছে পড়ুন পত্রিকায়

আরও খবর

Sponsered content