প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২৪ , ২:৫৩:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন হতে আর দুদিন বাকি।নভেম্বরের ৫ তারিখের এই নির্বাচন আমেরিকার তো বটেই এবং পুরো পৃথিবীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে আগামী চার বছরের জন্য।আমার কাছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ ‘অলিম্পিক’ থেকেও এই নির্বাচনকে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়।আমেরিকার নির্বাচনে জিততে হলে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ২৭০টিতে জয়লাভ করতে হয়। গত নির্বাচনে হেরে যাওয়া বহুল আলোচিত ডনাল্ড জে ট্রাম্প এবারও রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে লড়ছেন নির্বাচনে। সাধারণত আমেরিকার নির্বাচনে প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনে হেরে যাওয়া প্রার্থীকে কোন দলের সমর্থকই আবার সমর্থন করে না প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনের জন্য।কিন্তু ব্যবসায়ী থেকে সরাসরি ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ট্রাম্প,এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম।রিপাবলিকানদের প্রাথমিক বাছাইয়ে দাপটের সঙ্গে জিতে শুধু রিপাবলিকান প্রার্থীরই টিকিট নিয়েছেন তা নয়,আগাম বুথ ফেরত জরিপ থেকে শুরু করে প্রায় সব জরিপেই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছেন।কোনো কোনো জরিপে এগিয়েও যাচ্ছেন। গতবার হারার পরও ট্রাম্প কীভাবে আবার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে পারেন তার পেছনে অনেক কারণ থাকলেও আমার কাছে মনে হওয়া সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ পাঁচটি। এই কারণগুলো নিয়েই আজকের এই বিশ্লেষণ।
১. মুদ্রাস্ফীতি: বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঁচ শতাংশের কাছাকাছি মুদ্রাস্ফীতি বেশ স্বাভাবিক ঘটনা হলেও আমেরিকার মুদ্রাস্ফীতি সাধারণত খুব কম থাকে।ট্রাম্পের ৪ বছরের (২০১৭-২০২০) আমলে বছরে গড়ে মুদ্রাস্ফীতি ছিল মাত্র ১.৮ শতাংশ, এমনকি মহামারীর বছর ২০২০ সালেও এই মুদ্রাস্ফীতি ছিল মাত্র ১.২ শতাংশ।যার ফলে মহামারীর মধ্যে ও জিনিসপত্রের দাম ছিল আমেরিকার জনগণের নাগালের মধ্যে। যার অন্যতম কারণ হয়তো কম চাহিদার কারণে পেট্রোলের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া। কিন্তু ২০২১ সালে বাইডেন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে সেই বছরই মুদ্রাস্ফীতি হয় ৪.৭ শতাংশ।যা বেড়ে পরের বছর হয় ৮ শতাংশ।গত ৪৮ বছরের মধ্যে আমেরিকার জন্য যা ছিল সর্বোচ্চ।আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা হল ২০২০ সালে ১ ডলারে ১ ডজন ডিম কিংবা আড়াই ডলারে এক গ্যালন দুধ পাওয়া গেলেও এখন সেই ডিমের দাম চার থেকে পাঁচ ডলার,দুধের দামও পাঁচ ডলারের কম নেই কোথাও।একই অবস্থা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসের ক্ষেত্রেই।
মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায়,আগে যেখানে বাড়ি কেনার জন্য ব্যাংক লোনের সুদের হার ছিল ২.৫ থেকে ২.৮ শতাংশ,তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ থেকে ৯ শতাংশের কাছাকাছি।যার ফলে মধ্যবিত্তদের জন্য বাড়ির মালিক হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকের আমেরিকাতে।এই আর্থিক চাপের কারণে,একসময় মধ্যবিত্তদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ডেমোক্রেট দলটি এইবার তাদের সমর্থন হারিয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
২. অবৈধ অভিবাসন: ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন ক্ষমতায় আসেন,তার অন্যতম নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ছিল আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করে মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে আসা অবৈধ অভিবাসনকে বন্ধ করা বা কমানো। সেই লক্ষ্যে ট্রাম্প সরকার বেশ কয়েকশত মাইল দেয়ালও বানিয়েছেন ২০১৬-২০২০ সালে।তাছাড়া অবৈধভাবে আমেরিকা আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য Remain in Mexico (মেক্সিকো থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের আমেরিকাতে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে) অর্ডারের ফলে অবৈধ অভিবাসন ট্রাম্প আমলে বেশ কমে গেলেও, ‘বাইডেন-কমলা’ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে সেটা আকাশচুম্বি হয়ে যায়।কারণ ট্রাম্প আমলের প্রায় সব নির্বাহী আদেশ বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই বাতিল করে দেন।যার ফলে সরকারি হিসেবেই গত চার বছরে প্রায় এক কোটি মানুষ অবৈধভাবে সীমান্ত পারি দিয়ে আমেরিকাতে এসেছে,যা আমেরিকার ইতিহাসে এত অল্প সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ,আবার বেসরকারি হিসেবে তা দেড় থেকে দুই কোটি বা তারও অধিক হতে পারে এমনই ধারণা অধিকাংশের।
এই সকল অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে অনেককেই ‘বাইডেন-কমলা’ সরকার জায়গা দিয়েছেন বিভিন্ন বড় বড় হোটেলে (যেমন নিউ ইয়র্ক সিটির রুজভেল্ট হোটেল) থাকার জন্য, যার খরচ হিসেবে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার করে শুধু হোটেল ভাড়ায় দিতে হচ্ছে সরকারকে প্রতিমাসে।যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেই মানুষের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন,সেখানে জনগণের করের টাকায় অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে এই ধরনের বিলাসিতা আমেরিকার সাধারণ জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া কিছু কিছু জায়গায় যুদ্ধাহত যোদ্ধাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বের করে সেখানে অবৈধ অভিবাসীদের ঠাঁই দেওয়ায় সাধারণ মানুষ বাইডেন-কমলা সরকারের উপর বিরক্ত হয়ে আছে এমনিতেই।যার ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে যেমন ক্ষোভ তৈরি হয়েছে,তেমনি সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীর মধ্যেও অজনপ্রিয় হয়েছেন ‘বাইডেন-কমলা’ সরকার।
৩. প্রার্থী কমলা হ্যারিস: আমেরিকার নির্বাচনের অন্যতম রোমাঞ্চকর একটা দিক হলো প্রতিটি দলের প্রাইমারি বা প্রাথমিক নির্বাচন। যেখানে দলের প্রায় সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে এবং এর মাধ্যমে একজন প্রার্থী তার নীতিমালা,দক্ষতা ও আদর্শ নিয়ে আমেরিকার জনগণকে একটা বাস্তব ধারণা দিতে পারেন।দলীয় মনোনয়ন পেতে হলে তাকে নিজের দলের মধ্য থেকেই সর্বাধিক সংখ্যক ইলেকটরের ভোটে জয়ী হতে হয়।এমন প্রাথমিক বাছাইয়ের মাধ্যমেই ট্রাম্প যেমন রিপাবলিকানদের মনোনয়ন পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে বাঘা বাঘা সব রিপাবলিকানদের হটিয়ে,ঠিক তেমনি সাধারণ সিনেটর বারাক ওবামা ২০০৮ সালে ডেমোক্রেটদের থেকে মনোনয়ন লাভ করেছিলেন তখনকার হেভিওয়েট ক্যান্ডিডেট হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে।এবারের রিপাবলিকান প্রাইমারিতেও অরাজনৈতিক বায়োটেক উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী রিপাবলিকানদের মধ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছেন নবাগত হিসেবে।তবে,ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে জো বাইডেন ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের প্রার্থী হলেও,প্রথম বিতর্কে ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর,ডেমোক্রেটিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও প্রায় সবারই ধারণা স্বাভাবিকভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করা হলে ডেমোক্রেট থেকে কমলা হ্যারিস মনোনয়ন পেতেন না।
এ কারণে অনেকেই তাকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নয়, বরং মনোনীত প্রার্থী হিসেবেই বিবেচনা করেছেন।যার ফলে কমলা হ্যারিসের দেশ পরিচালনার নীতি-আদর্শ কি এবং তিনি কি বাইডেনের মতোই দেশ পরিচালনা করবেন নাকি ভিন্ন পথে হাঁটবেন,এসব বিষয় নিয়ে জনগণের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।এ অবস্থায়,অনেক ভোটারই এই নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখবেন।
৪. বিশ্বরাজনীতি: ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে নিয়ে অনেকের ভয় ছিল যে,ট্রাম্প এলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।কিন্তু ট্রাম্পের চার বছরের মেয়াদকালে নতুন কোন যুদ্ধ তো আমেরিকা শুরু করেইনি বরং মধ্যপ্রাচ্যে চারখানা শান্তি চুক্তি করেছেন ট্রাম্প ২০২০ সালে।সিরিয়ার আইসিসকে ধ্বংস করে যুদ্ধ শেষ করেছেন ওভাল অফিসে ঢুকার এক বছরের মধ্যেই।তাছাড়া উত্তর কোরিয়ার কিম জং ঊনের সঙ্গেও ছিল ট্রাম্পের দারুণ সুসম্পর্ক।যার ফলে ট্রাম্প আমলে দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপান ছিল তুলনামূলকভাবে নিরাপদ অঞ্চল।আবার এই একমাত্র ট্রাম্পের আমলেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন নতুন করে কোনো যুদ্ধে জড়ায়নি।হামলা করেনি ইউক্রেইন বা নতুন কোনো দেশকে।অথচ বুশের আমলে পুতিন হামলা করেছিল জর্জিয়াতে,ওবামা আমলে হামলা করেছিল ইউক্রেইনের ক্রিমিয়াকে। ২০২১-এ ‘বাইডেন-কমলা’ সরকার ক্ষমতায় আসবার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বরাজনীতি খুব দ্রুতই পরিবর্তন হতে থাকে।রাশিয়া হামলা করে ইউক্রেইনকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে,যে যুদ্ধের ফলে ইতোমধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে দু’পক্ষ মিলিয়ে,ক্ষতি হয়েছে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে।নির্বাচনি বক্তব্যে ট্রাম্প দাবি করেছেন ট্রাম্প যদি ক্ষমতায় থাকত পুতিন কখনো ইউক্রেইনকে হামলা করত না,আর এই নির্বাচনে নির্বাচিত হলে এক দিনের মধ্যেই এই যুদ্ধ তিনি থামাতে পারবেন।
২০২০ সালে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে যেখানে চারটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল বিভিন্ন দেশের সঙ্গে,সেখানে গত চার বছরে শান্তিচুক্তির বদলে মধ্যপ্রাচ্য রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫০ জন অপহৃত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এই সংঘাতের ফলে লেবানন এবং ইরানও ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে,ইসরাইল-ইরান যুদ্ধ শুধু আমেরিকার আসন্ন নির্বাচনের জন্য থমকে আছে।যে ক্ষমতায় আসুক না কেন,ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ যেন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে অনেক উদারপন্থি মুসলিম ভোটার,যারা গত নির্বাচনে একচেটিয়াভাবে বাইডেন-কমলাকে সমর্থন করেছিলেন,এবার ট্রাম্পকে সমর্থন করার কথা ভাবছেন।তাদের যুক্তি হলো,ট্রাম্প যদি ক্ষমতায় থাকতেন,তাহলে মধ্যপ্রাচ্য কি এমন যুদ্ধাবস্থায় পৌঁছাত? কারণ ট্রাম্পের শাসনামলেই একমাত্র ইসরায়েল-গাজার মধ্যে কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে,চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার সেনাবাহিনীকে তাইওয়ান আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।যে কোনো সময় এই যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে,যদি কমলা হ্যারিসের সরকার নির্বাচনে জয়লাভ করেন, চীন সঙ্গে সঙ্গেই তাইওয়ানের ওপর হামলে পড়বে।আজকের এই যুদ্ধমুখী পৃথিবী যেন ধীরে ধীরে প্রস্তুত হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য।এমন এক উত্তপ্ত বিশ্ব পরিস্থিতিতে, ট্রাম্প কি আদৌ পারবেন এই অবস্থা থেকে পৃথিবীকে বের করে যুদ্ধ মুক্ত বিশ্ব গড়তে?
৫.ইলন মাস্কের সমর্থন: কমলা হ্যারিস-ট্রাম্পের প্রথম এবং একমাত্র বিতর্কে কমলা হ্যারিস তুলনামূলক ভাল করার পর থেকে জাতীয় জরিপগুলোতে ট্রাম্প পিছিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু অক্টোবরের ৫ তারিখে প্যানসিলভেনিয়ার বাটলার কাউন্টির নির্বাচনি জনসভায় গিয়ে ইলন মাস্ক বক্তব্য দিয়ে ট্রাম্পকে সমর্থন জানানোর পর থেকে জাতীয় জরিপগুলোতে ট্রাম্প এগোতে থাকেন ধীরে ধীরে।বর্তমান অবস্থা অনুসারে জাতীয় জরিপে কমলা হ্যারিস থেকে ট্রাম্প ০.৪ শতাংশ এগিয়ে আছেন।এই সময়ে ২০১৬ সালে হিলারি এগিয়ে ছিলেন ২.৫ শতাংশ আর ২০২০ সালে বাইডেন এগিয়ে ছিলেন প্রায় ৭.৪ শতাংশ।
ইলন মাস্কের সমর্থন এই নির্বাচনে দারুণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে,কারণ তিনি আমেরিকার তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে মধ্যমপন্থি,অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সুইং ভোটারদের মধ্যেও তুমুল জনপ্রিয় তার মেধা ও সৃজনশীলতার জন্য। ইলন মাস্কের প্রভাবের কারণে বেশ কিছু জনপ্রিয় প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব,বিশেষ জো রোগানের মতো প্রভাবশালী ইউটিউবার যারা গতবার বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছিলেন তারাও ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন।যার প্রভাবে,গত দুই মেয়াদের তুলনায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পেয়েছে বহুলাংশে।ইলন মাস্কের এই সমর্থন কি ডনাল্ড ট্রাম্পকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে?
কমলা নাকি ট্রাম্প আগামী চার বছরের জন্য ওভাল অফিসের টিকিট কে পাচ্ছেন,এই প্রশ্নোত্তরের জন্য আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না।