জাতীয়

খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ সোয়া ১৬ লাখ টনের বেশি-প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা

  প্রতিনিধি ৭ জুন ২০২৩ , ৪:৫২:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।দেশে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ সোয়া ১৬ লাখ টনের বেশি বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে দুই সপ্তাহ আগের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়,মোট মজুদ ১৬ লাখ ২৭ হাজার টন খাদ্যশস্যের মধ্যে চালের পরিমাণ ১২ লাখ ২৫ হাজার টন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

প্রশ্নোত্তরের তথ্য অনুযায়ী,মজুদ অন্য খাদ্যশস্যের মধ্যে গম ৩ লাখ ৯৬ হাজার টন এবং ধান ৯ হাজার টন।

প্রধানমন্ত্রী জানান,“খাদ্য মজুদ বাড়াতে বর্তমান বোরো সংগ্রহ মৌসুমে চার লাখ মেট্রিক টন ধান ও ১২ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন চালসহ চাল আকারে সর্বমোট ১৫ দশমিক ১০ লাখ মেট্রিন টন খাদ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।২০২২-২৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ মেট্রিন টন নির্ধারণ করা হয়েছে।”

অধিকতর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি অর্থবছরের ২৩ মে পর্যন্ত ৬ দশমিক ৩৪ লাখ টন চাল ও ৬ দশমিক ৮০ টন গম আমদানি করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন,দেশে নতুন নতুন এলাকায় ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ ও সাইসমিক সার্ভে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৫৮১ লাইন কিলোমিটার টুডি এবং ৬ হাজার ২২২ বর্গকিলোমিটার থ্রিডি সাইসমিক সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে।

“এসময়ে ২০টি অনুসন্ধান কূপ, ৫৪টি উন্নয়ন কূপসহ ৭৪টি কূপ খনন এবং ৪১টি কূপে ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে ছয়টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।দেশে এ পর্যন্ত খননকৃত মোট অনুসন্ধান কূপের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ বর্তমান সরকারের আমলে হয়েছে।”

ভোলার ইলিশায় আবিষ্কৃত ২৯তম গ্যাসক্ষেত্রের মজুদসহ বর্তমানে গ্যাসের মজুদ ২৮ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়িন ঘনফুট বলে জানান শেখ হাসিনা।

বিরোধী দলীয় হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান,বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তোরণের ফলে ২০২৬ সালের পর থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানিতে ‘ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি’ সুবিধা পাবে না। এতে ভারতে পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

“এ বিষয়টি বিবেচনা করে ভারতের সাথে কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এটি এখনও ‘নেগোসিয়েশন’ (দর কষাকষি) পর্যায়ে রয়েছে।সিইপিএ স্বাক্ষরিত হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এতে জিডিপি ১ দশিমক ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান জানান,বর্তমানে বিশ্বের ১৭৪টি দেশে ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী কর্মরত।

আরও খবর

Sponsered content