প্রতিনিধি ৪ মে ২০২৪ , ৫:০৩:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়।চলছে ব্যাপক ধড়পাকড়।এর মধ্যে ক্যাম্পাসগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের সময় হয়ে এসেছে।এসব আয়োজনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বাধা দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষোভ চলছে এমন চারটি ক্যাম্পাসে চলতি সপ্তাহান্তে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা।এ ছাড়া নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি ক্যাম্পাসে চলতি মাসে ও জুনে এই আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে।
স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করার চেষ্টায় রয়েছে ক্যাম্পাসগুলো।অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরাও এসব আয়োজন বর্জন করা,অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে আসা বা ওয়াকআউট করাসহ বিভিন্ন বিকল্প কর্মসূচি নিয়ে ভাবছেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তাল রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে চলছে টানা বিক্ষোভ।অনেক ক্যাম্পাসে পুলিশি অভিযান চলছে।আটক করা হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে।
বিবিসি বলছে,গত মাসে নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভের সূচনা।পরে ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে।এখন বিক্ষোভকারীরা স্নাতক সমাপনী আয়োজনে বাধা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন।
ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি (আইইউ) ক্যাম্পাস থেকে দুই দফায় বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এখন আইইউ ডাইভেস্ট অ্যান্ড দ্য প্যালেস্টাইন সলিডারিটি কমিটি স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান থেকে ওয়াকআউটের ডাক দিয়েছে।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ হয়েছে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান,ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব কানেকটিকাটে। তিনটি ক্যাম্পাসে আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,যেকোনো ব্যানার ও পতাকা বহন করা নিষিদ্ধ থাকবে।সবাইকে তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সতর্ক করে বলা হয়েছে,অনুষ্ঠানস্থলে স্বেচ্ছাসেবকেরা থাকবেন,পর্যবেক্ষণ করবেন। বাধা দেওয়া হলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি না, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি বিক্ষোভকারীদের সংগঠন তাহরির কোয়ালিশন প্রোটেস্ট গ্রুপের আলিফা চৌধুরী। তিনি শুধু বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনার প্রস্তাব পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে।
প্রায় ২০০ মাইল দক্ষিণে,ওয়াইও স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট টেড কার্টার শিক্ষার্থীদের বাক্স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।তবে সতর্ক করে বলেছেন, যেকোনো আয়োজন,ক্লাস,পরীক্ষায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে নিয়ম মেনে তা প্রতিহত করা হবে।
আগামীকাল রোববার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান হবে।এই আয়োজনে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি না,তা নিশ্চিত করেননি এখানকার ফিলিস্তিনি-আমেরিকান শিক্ষার্থী হেবা লতিফ।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১৫ মে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ক্যাম্পাস চরম উত্তাল ছিল।বিক্ষোভকারীরা একটি ভবন দখলে নেন। পরে পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ওই ভবন উদ্ধার করে। ব্যাপক ধড়পাকড় চালায়।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল বিবিসিকে বলেন,নিরবচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া হবে।