ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

আলোচিত নাবিল নাবা থেকে মসুর ডাল কিনছে সরকার

  প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২৪ , ৪:০২:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম বৈঠকে ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে অংশ নিয়ে এ মসুর ডাল সরবরাহের কাজ পেয়েছে নাবিল নাবা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড।

আজ বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে মসুর ডাল গুরুত্বপূর্ণ।তাই এ–বিষয়ক প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।আগে যে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে অনেক কিছু কেনা হতো,সেই ধারা অন্তর্বর্তী সরকারও অব্যাহত রাখবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

এত দিন ক্রয় কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতেন। তবে আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

জানা গেছে,নাবিল নাবা থেকে কেনা মসুর ডাল সাশ্রয়ী দামে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে বিক্রি করবে পণ্য বিক্রয়কারী সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মসুর ডাল থাকবে। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ৮৬ পয়সা।এতে মোট ব্যয় হবে ২০৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।আগের চেয়ে দাম একটু কমেছে।আগে প্রতি কেজির দাম পড়ত ১০২ টাকা ৫০ পয়সা।

রাজশাহীভিত্তিক আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী নাবিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড।নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান জাহান বক্স মণ্ডল।ইসলামী ব্যাংক থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে নামে ও বেনামে দ্রুতগতিতে অর্থ তুলে নিয়েছিল নাবিল গ্রুপ,যা নিয়ে প্রথম আলোতে ‘ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন,‘এস আলম গ্রুপের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছাড়া আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।দেশের সবচেয়ে বড় ডালের কারখানাটি আমাদের।আর ৬৫ শতাংশ ডালের আমদানিকারকও আমরা।তা ছাড়া উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিয়ে কাজ পেয়েছি।সুতরাং প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।’

এর আগে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ৩১ জুলাই।সেটি ছিল আবার পদত্যাগী আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বৈঠক।সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছিলেন।বৈঠকটিতে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুতের খুঁটি (এসপিসি পোল) সরবরাহের কাজ দেওয়া হয়েছিল।

আরও খবর

Sponsered content