সারাদেশের খবর

অভয়নগরে ব্যাংক এশিয়ার বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত অসহায় মানুষের বরাদ্দকৃত টাকা নিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৩০ জুন ২০২২ , ৯:১১:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

অভয়নগর প্রতিনিধি:- শোরের অভয়নগরে ব্যাংক এশিয়ার বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত অসহায় মানুষের বরাদ্দকৃত টাকা নিয়ে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সারা বছর ধরে সরকার অসহায় মানুষদের বিভিন্ন ভাতা প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, মাতৃকালিন ভাতা ইত্যাদি। এসব ভাতা উপজেলা সমাসেবা কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন।

সরকারি এসব বরাদ্দকৃত ভাতার টাকা ব্যাংক এশিয়ার মাধ‍্যমে প্রদান করে থাকে। অসহায় মানুষদের সুবিধার্থে উপজেলা সমাজ সেবার অনুমোদনক্রমে উপজেলায় ১৬টি এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ সব এজেন্টদের দায়িত্ব সরকার কর্তৃক অসহায় মানুষদের বরাদ্দকৃত টাকা প্রদান করা। এজেন্টগণ মাস শেষে ব্যাংক এশিয়া থেকে বিল জমা করে টাকা তুলবে।

কিন্তু এসকল এজেন্টগণ ব্যাংক এশিয়া থেকে হয়রানির শিকার হচ্ছে, বিল জমা করলেও ব্যাংক ঠিকভাবে এজেন্টদের টাকা দিচ্ছেনা, যে কারনে ভুক্তভোগী অসহায় মানুষও পড়েছে চরম বিপাকে।

এমনই এক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভিন্ন ভাতার টাকা প্রদানকারী এজেন্টের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সরকার ঘোষিত অসহায় মানুষের নামে বরাদ্দকৃত সব প্রকার ভাতার টাকা প্রদান করে থাকি, কিন্তু ব্যাংক এশিয়া কর্তৃপক্ষ আমাকে ঠিকভাবে বিল দেয়না।

নিজের কাছে যে টাকা ছিলো সব দিয়ে দিয়েছি। আমার প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যাংক এশিয়ার কাছে পাওনা, প্রতিদিন ঘুরাইতেছে, হয়রানি করছে, টাকা দিচ্ছেনা। শুধু আমি নই, এখানে যতগুলো অসহায় বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি মানুষ আছে অনেক মানুষের ফিংগার প্রিন্ট ও মোবাইল নম্বরে সমস্যা থাকে, সঠিক না মিলার কারণে নওয়াপাড়া এজেন্ট ব্যাংকে পাঠিয়ে দেই।

কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গালাগাল করে অফিস থেকে ভুক্তভোগীদের বের করে দেয় যা সেসব ভুক্তভোগীরা আমাকে এসে জানায়। তথ্য সংগ্রহের সময় সেখানে উপস্থিত হন নওয়াপাড়া ৪নং ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধি রেশমা খাতুনের মা, তিনি বলেন আমি ব্যাংক এশিয়ায় অনেকবার হেটে হেটে হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমার কোন সমাধান কেউ করে দিচ্ছেনা।

ব্যাংকে গেলে আমাকে দুর দুর করে তাড়িয়ে দেয়, খারাপ আচরণ করে, আমরা গরিব অসহায় মানুষ, আমাদের কেউ উপকার করেনা। আর এক ভুক্তভোগী চম্পা বেগম বলেন, আমি এশিয়া ব্যাংকে প্রাই একমাস যাবত ঘুরতেছি, কোন সমাধান পাচ্ছিনা, টাকাও পাচ্ছিনা। অনেকে ব্যাংক এশিয়ার বিরুদ্ধে হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন।

তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ভৃক্তভোগী অনেকে বলেন, সমাজ সেবা অফিসে সহযোগিতার জন্য গেলে তারা পাঠায় এশিয়া ব্যাংকে, আবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পাঠায় এজেন্টদের কাছে, আমরা গরিব অসহায় ভূমিহীন প্রতিবন্ধি আর কোথায় যাব সমস্যা সমাধান করতে।

এবিষয়ে এশিয়া ব্যাংকের নওয়াপাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার দায়িত্বে থাকা অফিসার রুবেল বলেন, গ্রাহক হয়রানি করা হয়না গ্রাহকের ফিংগার প্রিন্ট না মিললে আমরা একটু সময় নিই, কিন্তু সঠিক ভাবে সব ঠিক করে নতুন ফিংগার গ্রহন করে ঠিক করে দেই। গ্রাহক হয়রানি এটা তিনি অস্বীকার করেন।

এবিষয়ে জানার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রেবেকা বেগমের ০১৭১৪৬৩৪৪৪৩ নং মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

আরও খবর

Sponsered content